ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রশিদ হারুনের এ্যালবাম ‘ভালো থেকো মনোলীনা’

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

রশিদ হারুনের এ্যালবাম ‘ভালো থেকো মনোলীনা’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ আগামী জাতীয় গ্রন্থমেলায় আসছে জি এম হারুন অর রশিদ (রশিদ হারুন) রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালো থেকো মনোলীনা’। কবির এই গ্রন্থের নির্বাচিত কয়েকটি কবিতার আবৃতি এ্যালবামও বাজারে আসছে অচিরেই। এ্যালবামের জন্য নির্বাচিত কবিতা আবৃত্তির রেকর্ড সম্প্রতি গান পাগল স্টুডিওতে শেষ হয়েছে। বি মিউজিক প্রেজেন্টস ‘ভালো থেকো মনোলীনা’ এ্যালবামে আবৃত্তি করেছেন অসীম হক ও আফরুজা বুলবুল ইতি। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ মিলন। কবি হারুন অর রশিদের ‘ভালো থেকো মনোলীনা’ কাব্যগ্রন্থে মোট ৬৫টি কবিতা স্থান পেয়েছে। আফসার ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থের প্রচ্ছদ করেছেন নিক্সন। বইয়ের বেশিরভাগ কবি প্রেম ও প্রকৃতিবিষয়ক। কবির প্রতিটি কবিতায় প্রেমের জন্য হাহাকার থাকলেও বিষয়বস্তু এবং শব্দচয়নে যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। একজন দক্ষ কবির মতই তিনি তার কবিতার প্রতিটি লাইন সাজিয়েছেন। আর এই গ্রন্থের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রতিটি কবিতা যেন এক একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প। যা একজন পাঠককে বাস্তবতা থেকে নিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে ভালবাসার রাজ্যে। নতুন গ্রন্থ ‘ভালো থেকো মনোলীনা’ ও এ্যালবাম প্রসঙ্গে কবি রশিদ হারুন বলেন, আপনজনকে চিঠি লিখতে আমার খুব ভাল লাগতো। চিঠি লিখতে গিয়েই কবিতা লেখার চেষ্টা। তাই আমার সব কবিতাই প্রেম-বিরহ আর অভিমানের কবিতা। আমি নিজেকে বিরহ ও অভিমানের মানুষ হিসেবে ভাবতেই ভালবাসি। তাই প্রার্থনা কবিতার কাছে আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম আমার অন্য কিছুতেই এখন আর মন ভরে না। তাই মনোলীনাকে অভিমান করে বলে ফেলিÑমনোলীনা, অভিমানী মানুষ কখনো ভাল থাকে না, অভিমানী মানুষ কবি হয়। আশা করি আমার অভিমানের কথাগুলো পাঠকরা পছন্দ করবেন। প্রসঙ্গত কবি রশিদ হারুন একজন স্বনামধন্য সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তার পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মাতা-সাজেদা বেগম। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। শাবিপ্রবির ইতিহাসে প্রথম ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। স্ত্রী ডা. মাসুমা আকতার। দুই সন্তানের জনক। ছেলে রুদ্র ও মেয়ে রোদসীকে নিয়ে তার সংসার।
×