স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলে মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান রুম্মন ও মোহাম্মদ মিঠুনই আছেন ব্যাটসম্যান। এ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সব ফরমেট মিলিয়ে শুধু দুই ক্রিকেটারেরই কোন সেঞ্চুরি নেই। একজন মোহাম্মদ মিঠুন। আরেকজন সাব্বির রহমান রুম্মন। এই অধরা সেঞ্চুরির খোঁজেই আছেন সাব্বির।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাব্বির সেঞ্চুরির আশার কথাই জানিয়েছেন। একটি সেঞ্চুরির খোঁজে যে আছেন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়েই হতাশ। চেষ্টা করছি সেঞ্চুরি করার জন্য। চেষ্টা করছি ইনশাল্লাহ। যাতে আগ্রাসী রূপ নিয়ে নিজের খেলাটা খেলতে পারি।’
মিঠুন জাতীয় দলে অনিয়মিত। ২০১৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ালেও ২টি ওয়ানডে ও ১২টি টি২০র বেশি খেলেননি। ২০১৬ সালের পর আবার সুযোগ পেয়েছেন। সেই তুলনায় সাব্বির রহমান ২০১৪ সালে নির্ধারিত ওভারে এবং ২০১৬ সালে টেস্টে অভিষেকের পর থেকেই দলে নিয়মিত। ১০ টেস্ট, ৪৬ ওয়ানডে ও ৩৩টি টি২০ খেলেও ফেলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফরমেটেই সেঞ্চুরির চেহারা দেখেননি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৮০ রানের টি২০তে। টেস্টে ৪টি হাফসেঞ্চুরি আছে। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৬ রানের। ওয়ানডেতে ৫টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৫ রানের। আর টি২০তে আছে ৩টি হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু সেঞ্চুরির দেখা কখনও পাননি। উইকেটে সেট হয়েও আউট হয়ে যান। এ বিষয়ে সাব্বির বলেন, ‘এটা টেম্পারামেন্টের ব্যাপার না। আমার খেলাই আসলে এমন। আগে যখন তিন নম্বরে খেলতাম, তখন ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল। এখন ছয় সাত বা পাঁচ ছয়ে খেলব। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমি যখন যেখানে খেলার সুযোগ পাব, চেষ্টা করব পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। এখন আমি চিন্তা করছি, কখন কিভাবে খেলা উচিত তা নিয়ে। যদি উইকেটে থাকি, ম্যাচ ফিনিশ করব, ইনশাল্লাহ।’ সাব্বির এখন ভীষণ চাপে আছেন। কয়েকদিন আগেই জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলতে গিয়ে এক কিশোরকে লাঞ্ছিত করেছেন। এ জন্য ঘরোয়া লীগ থেকে ছয়মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। জরিমানাও গুনতে হয়েছে। এ বিষয়টি সাব্বিরের মানসিকতায় আঘাত হেনেছে। তবে এ নিয়ে ্এখন আর ভাবছেন না সাব্বির। বলেছেন, ‘মানুষ হিসেবে আমার ওপর এই ঘটনা অনেক প্রভাব ফেলেছে।