ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাশলে বার্টিকে হারিয়ে নতুন বছরের প্রথম শিরোপা জিতলেন জার্মান তারকা

সিডনিতে শেষ হাসি কারবারের

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

সিডনিতে শেষ হাসি কারবারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন মৌসুমের শুরুতই জ্বলে উঠলেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। দুর্দান্ত খেলেই সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে জার্মান টেনিস তারকা শনিবার ৬-৪ এবং ৬-৪ গেমে পরাজিত করেন অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টিকে। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ১১তম ডব্লিউটিএ শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও এখন নিঃসন্দেহে ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মেখেই কোর্টে নামবেন স্টেফিগ্রাফের এই উত্তরসূরি। গত কয়েক মৌসুম ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এ্যাঞ্জেলিক কারবার। তবে ২০১৬ সালে অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে সব আলো নিজের ওপর কেড়ে নেন এই জার্মান তারকা। সে বছরই প্রথম কোন মেজর শিরোপার স্বাদ পান তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে বছর শুরু করা কারবার ইউএস ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, সে বছরে ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ রিও অলিম্পিকেও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। বছরটা শেষ করেছিলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে। কিন্তু পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি দুটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। গত বছর শিরোপা জয় তো দূরের কথা কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালেই জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। যে কারণেই বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে বছর শুরু করা কারবার মৌসুম শেষ করেছেন ২২ নাম্বারে থেকে। তবে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা। শুরুটা করেছিলেন হপম্যান কাপে। শিরোপা জিততে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। টানা চার ম্যাচ জিতেন তিনি। হপম্যান কাপে অপরাজিত থাকার পর সিডনিতেও একই চিত্রনাট্য। দুর্বার কারবার জিতলেন টানা ৯ ম্যাচ। আর সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের ফাইনালে এ্যাশলে বার্টিকে পরাজিত করে ২০১৬ সালের ইউএস ওপেনের পর প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন কারবার। নতুন মৌসুমে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন জার্মান তারকা। উচ্ছ্বাসটাও তাই একটু বেশিই। এ প্রসঙ্গে এ্যাঞ্জেলিক কারবার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘অসাধারণ কাটছে সপ্তাহটা। খুবই ভাল টেনিস খেলছি আমি। এই অনুভূতিটা অসাধারণ। এ্যাশলের বিপক্ষে ম্যাচটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আমি ভাল খেলেছি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের খেলাটা খেলতে পেরেছি। এ কারণে আমিও খুব আনন্দিত। ২০১৮ সালের শুরুতেই প্রথম টুর্নামেন্ট জিততে পেরে আমি গর্বিত।’ এরপরই কারবার জানান, তার লক্ষ্য এখন স্বরূপে ফেরা। বিশেষ করে দুই বছর আগের ফর্মে ফিরে যেতে চান স্টেফিগ্রাফের এই উত্তরসূরি। সে ব্যাপারে কারবার বলেন, ‘এটা তো কেবল বছরের সূচনা। আমি মনে করি, এখনই আমার সেরা ফর্মের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। তারপরও ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাল খেলার চেষ্টা থাকবে আমার। চেষ্টা করছি নিজের খেলাটাই খেলতে ঠিক ২০১৬ সালে যেমনটা খেলেছিলাম।’ সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর মাত্র দুইদিন আগেই সিডনিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন কারবার। আত্মবিশ্বাস যে বহুগুণে বেড়ে গেছে তার সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখবে না। এদিকে মেলবোর্নে যাওয়ার আগে সিডনির ফাইনালে জায়গা করে নেয়া এ্যাশলে বার্টিও নিজের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনুভূতিটা দারুণ। সত্যি কথা বলতে, খুবই ভাল টেনিস খেলেছি আমি।’ সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টে ২০০৫ সালে সর্বশেষ কোন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় ফাইনাল খেলেছিলেন। সামান্থা স্টোসারকে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন এ্যালিসিয়া মলিক। তার দীর্ঘ একযুগ পর সিডনির ফাইনাল কোন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়কে পেল। এবার শিরোপা জিততে না পারলেও প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের আগে নিজের পারফর্মেন্সে এ্যাশলে বার্টি দারুণ রোমাঞ্চিত।
×