ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা করতেই নাখালপাড়ায় জঙ্গী আস্তানা!

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা করতেই নাখালপাড়ায় জঙ্গী আস্তানা!

গাফফার খান চৌধুরী ॥ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশেই কেন নাখালপাড়ার জঙ্গী আস্তানাটি গড়ে তোলা হয়েছিল, তা জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা। আস্তানাটির পাশেই প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের বসবাস। এসএসএফ বা আশপাশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ছিল কিনা সে বিষয়ে গভীর তদন্ত চলছে। আস্তানাটি গড়ে তোলা হয়েছিল একজন বিমান কর্মকর্তার বাড়িতে। ইতোপূর্বে র‌্যাবের অভিযানে মিরপুরের দিয়াবাড়িতে একজন বিমান কর্মকর্তার বাড়িতে গড়ে ওঠা জঙ্গী আস্তানায় অভিযানে সাত জঙ্গী নিহত হয়। গ্রেফতার হন বিমানের একজন পাইলট। ওই পাইলট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তাতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিমান নিয়ে হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে পাইলটের জবানবন্দীতে প্রকাশ পায়। এবারও বিমান দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলার চালানোর উদ্দেশ্যেই নাখালপাড়ার আস্তানাটি গড়ে তোলা হয়েছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির মালিকের এক ছোট ভাইও বিমানের পাইলট। বিমানের দুই পাইলটের বাসায় জেএমবি জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে তোলার পেছনে বিশেষ কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনাকে নিশ্চিতভাবে হত্যা করতে বিমান হামলার পরিকল্পনা করে আসছে জঙ্গীরা। বাংলাদেশে জঙ্গীদের বিমান হামলার পরিকল্পনার কথা প্রথম প্রকাশ পায় ২০১০ সালে এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত এক জঙ্গীর জবানবন্দীতে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ায় ১৩/১ নম্বর রুবি ভিলা নামের ছয় তলা বাড়ির পঞ্চম তলায় জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। ভোর রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত র‌্যাবের সঙ্গে জঙ্গীদের ঘণ্টাখানেক থেমে থেমে গোলাগুলি ও মারাত্মক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভিযানে তিন জঙ্গী নিহত হয়। র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, বাড়ির মালিক বিমানের কেবিন ক্রু সাব্বির হোসেন, তার ছেলে ও বাড়ির কেয়ারটেকার রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বাড়ির মালিকের ছোট ভাই বিমানের ফার্স্ট অফিসার (পাইলট) সাখাওয়াতসহ পুরো পরিবার সর্ম্পকে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিরপুরের দিয়াবাড়িতে বিমানের আরেক পাইলট সাব্বিরের বাড়িতে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পাওয়ার ঘটনার কারণে। দিয়াবাড়ির ওই আস্তানায় চালানো অভিযানে সাত জঙ্গী নিহত হয়। ওই আস্তানায় হলি আর্টিজানে হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তামিম চৌধুরীসহ শীর্ষ জঙ্গীদের যাতায়াত ছিল। জঙ্গীবাদে জড়িত থাকা এবং জঙ্গীদের নিজের বাড়িতে আস্তানা গড়ে তোলার সুযোগ করে দেয়ার দায়ে গ্রেফতার হয় বাড়ির মালিকের ছেলে বিমানের পাইলট সাব্বির। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে পাইলট সাব্বিরের বিমান নিয়ে গণভবনে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। র‌্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এত কাছে এমন আস্তানা গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী এসএসএফ সদস্যদের বসবাসের জায়গার পাশেই এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশেই আস্তানা গড়ে তোলার বিষয়টিও রীতিমত রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এসএসএফ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর নিহত জঙ্গীদের হামলার কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। মিরপুরের দিয়াবাড়িতে বিমানের পাইলটের বাসায় এবং নাখালপাড়ায়ও বিমানের পাইলটের বাসায় জঙ্গী আস্তানা গড়ে ওঠার মধ্যে কোন বিশেষ যোগসূত্র আছে কিনা তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই কর্মকর্তা বলছেন, এবারই প্রথম জঙ্গীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে বসবাস করার তথ্য পাওয়া গেল। আগে জঙ্গীদের নিজেদের মতো করে ফ্ল্যাট ভাড়া করে আস্তানা গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। যেটি হয়েছিল মিরপুরের দিয়াবাড়িতে বিমানের পাইলট সাব্বিরের বাড়িতে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। একই ফ্ল্যাটে মাত্র একটি রুম নিয়ে আস্তানা গড়ে তোলার বিষয়টি রীতিমতো রহস্যের সৃষ্টি করেছে। এটি তাদের গ্রেফতার বা শনাক্ত না হওয়ার কৌশল ছিল। নিহতদের পরিচয় মেলেনি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাদের সুরতহাল হয়েছে। গুলিতে ও বোমার আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির মালিক বিমানের স্টুয়ার্ট (কেবিন ক্রু) শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন (৫৫)। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করতেন না। এমনকি তার পরিবারের লোকজনও আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে মিশতেন না। তারা তেমন কোন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যাতায়াত করতেন না। প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়িটি তৈরি করে স্ত্রীর নামে নাম রাখেন রুবি ভিলা। বাড়ির মালিকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। বাংলাদেশ বিমানের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন তার বাড়িতে অভিযানকালে তিনি আবুধাবি থেকে ৭৭৭ ফ্লাইটে চীফ পারসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকেই তাকে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে ঢাকায় র‌্যাব সদর দফতরে নিয়ে যান। বাড়ির মালিকের ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন বিমানের পাইলট। বাড়ির মালিকের একমাত্র ছেলে ও বাড়ির কেয়ারটেকার রুবেলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। ওই বাড়িতে ইতোপূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চার বার অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গী ছাড়াও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ছিল। সব মিলিয়ে ওই বাড়ি থেকে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছিল। ওই বাড়িতে জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে ওঠার অভিযোগ বহুদিনের। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বিমান হামলার পরিকল্পনা করছে জঙ্গীরা। ২০১০ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম তথ্য প্রকাশ পায়। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউমার্কেটের সুকন্যা টাওয়ারে এক জামায়াত নেতার ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তানী জঙ্গীসহ বিল্লাল নামের এক বাংলাদেশী জঙ্গী র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। বিল্লালের দেয়া তথ্যে প্রকাশ পায় দেশীয় জঙ্গীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিমান হামলার পরিকল্পনার তথ্য। সেই জবানবন্দীতে প্রকাশ পায় কৃষক থেকে বিল্লালের দুনিয়া কাঁপানো আত্মঘাতী বিমান ছিনতাইকারী হওয়ার তথ্য। র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বিল্লালের নাম নান্নু মিয়া ওরফে বেলাল ম-ল ওরফে বিল্লাল। ১৯৭৬ সালে সিলেট জেলার কোতোয়ালি থানাধীন দরমপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। ১৯৮৩ সালে সিলেট সদরের হাজীগঞ্জ বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করে। ১৯৮৬ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন আশিগড় তার নানা বাড়ি এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবার পড়াশুনা করে। নানার বাড়িতে পড়াশুনার পাশাপাশি কৃষি কাজ করত। ১৯৯০ সালে বাড়ি ফিরে শসা বিক্রি শুরু করে। দুই বছর পর সবজির ব্যবসায় নামে। মা মারা গেলে কুলাউড়া খালার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৯৯৬ সালে খালার কাছ থেকে ১২ শ’ টাকা নিয়ে সিলেটের কুশিয়ারা নদী পার হয়ে ভারতে চলে যায়। ভারতের পানি সাগর, করিমগঞ্জ ও শিলচর এলাকায় কাজের সন্ধানে ঘোরাফেরা করতে থাকে। শিলচর বড় মসজিদের সেক্রেটারি শিলচর থানার কনকপুরের মধুবন গ্রামের মন মজুমদারের বাড়িতে কৃষি কাজ করার সুযোগ পায়। আট মাস পর বাখৈই মিয়ার শিলংয়ের লাটুম্বা কয়লা খনিতে কাজ শুরু করে। বাখৈই মিয়া করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিয়ে আসার কাজ দেয়। পরবর্তীতে সে ভারতের সুজা নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে কাজ নেয়। কাজের সুবিধা না হওয়ায় ১৯৯৮ সালে ট্রেনে চেপে দিল্লী চলে যায়। দিল্লীর লালকেল্লা মসজিদে বিহারের নাগরিক কাদির খানের সঙ্গে পরিচয় হয়। এখানেই জীবনের গতি পাল্টে যায় তার। আস্তে আস্তে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় গোয়েন্দারা তার ওপর নজরদারি শুরু করে। পরে ভারতের সোলাদান সীমান্তে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাকে গ্রেফতারও করে। আড়াই মাস কারাভোগের পর কলকাতার চব্বিশ পরগণার জেলার বাদুরিয়া থানার ভুইকারা এলাকার জঙ্গী নেতা স্বরূপ গাজীর মাধ্যমে কলকাতার বশিরহাট সাবজেলে থেকে মুক্তি পায়। কারাগারে মাজেদ নামে এক জঙ্গীর সঙ্গে পরিচয় হয়। জামিনে ছাড়া পেয়ে কারাগারে একত্রে থাকা তিন জঙ্গী আবার কাদের খানের কাছে যায়। কাদের খান তিন জঙ্গীকে নিয়ে প্রথমে পাঞ্জাব পরে কাশ্মিরের আদনানে (স্থানীয় নাম ইসলামাবাদ) আস্তানা গাড়ে। এ সময় পাঞ্জাবের ডুনি এলাকার বাসিন্দা রমজান বাটের সঙ্গে পরিচয় হয় বিল্লালের। রমজান বাটের কাছে থাকা অবস্থায় জঙ্গী নেতা ফাঁসিতে মৃত্যু হওয়া শায়খ আব্দুর রহমান ও আতাউর রহমান সানির সঙ্গে পরিচয় হয়। শায়খ আব্দুর রহমান তাকে জঙ্গীদের ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত পারাপারের দায়িত্ব দেয়। সে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে থাকে। ১৯৯৯ সালে আব্দুর রহমান তাকে ঢাকা পাঠিয়ে জুবায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। জুবায়ের তাকে সায়েদাবাদ নূরানী মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে কলকাতায় গিয়ে শায়খ আব্দুর রহমান ও সরূপ গাজীর সঙ্গে বারাসাদে অবস্থান নেয়। এ সময় শায়খ রহমানের অন্তত ১৫/১৬ জন জঙ্গীকে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠায়। এ সময় পুরোপুরি জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন জঙ্গী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ট্রেনিং নেয়। বহুবার পাকিস্তানে যায়। পাকিস্তানের সরকারী বেসরকারী ও বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের কাছ থেকে বিশেষ ট্রেনিং নেয়। পাকিস্তানে ট্রেনিংকালে আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে ওঠে। আল কায়েদার নেতাদের সঙ্গেও তার সর্ম্পক হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে বিল্লালের সরাসরি সহযোগিতায় ভারতের একটি বিমান নেপাল থেকে ছিনতাই করে আফগানিস্তানে নিয়ে যায় কাশ্মিরের হরকাতুল মুজাহিদীনের জঙ্গীরা। ছিনতাইকৃত বিমান দিয়ে আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলা চালানোর কথা ছিল। পরবর্তীতে বিমানটি অন্য কাজে লাগায় জঙ্গীরা। এ ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে বিল্লালকে। ২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় গোয়েন্দারা। ওই মামলায় ২০০৯ সাল পর্যন্ত অসামের গোহাটী ও কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী থাকে। প্রায় ১০ বছর জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায়। এরপর কলকাতায় অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। গোয়েন্দারা তার পিছু নিলে সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে এদেশীয় জঙ্গীদের আর্থিক সহায়তায় পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তুতির সময় র‌্যাবের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়। সে আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে পাকিস্তানের লস্কর-ইÑতৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ছাড়াও এদেশীয় শীর্ষ জঙ্গীদের যোগাযোগ ছিল। সে আন্তর্জাতিক আত্মঘাতী জঙ্গী স্কোয়াডের সদস্য। বিল্লাল প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশী জঙ্গীদের দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর বাংলাদেশে বিমান হামলার পরিকল্পনার তথ্য। এছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ৩৫ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে উড়তে সক্ষম একটি ড্রোন ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করে। মনুষ্যবিহীন রিমোট কন্ট্রোলচালিত ওই ড্রোনে বিস্ফোরক ভর্তি করে, তা দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গণভবনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির তৎকালীন কর্মকর্তা (বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার) মনিরুল ইসলাম ও কৃষ্ণপদ রায় জানিয়েছিলেন।
×