ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের যৌনাচার লুকাতে অর্থ ব্যয় করেছিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

নিজের যৌনাচার লুকাতে অর্থ ব্যয় করেছিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে এক পর্ন অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌনাচার লুকাতে এক লাখ ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছিলেন। শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এ কথা জানা গেছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, গার্ডিয়ান, শিকাগো ট্রিবিউন ও নিউইয়র্ক টাইমসের। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে পর্ন অভিনেত্রী স্টেফানি ক্লিফোর্ডকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন বিতর্কিত ধনকুবের ট্রাম্প। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেফানি যেন তার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে না আনেন, তা বন্ধ করতেই এই অর্থ দেয়া হয়েছিল। ট্রাম্প ও স্টেফানি ২০০৬ সালে লেইক তাহোয় একটি গলফ টুর্নামেন্টে এক হয়েছিলেন। তখনই তাদের মধ্যে যৌন সংসর্গ ঘটেছিল। তার এক বছর আগে ২০০৫ সালে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প। যিনি এখন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। মডেল মেলানিয়া ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী। তবে ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ও হোয়াইট হাউস পর্ন অভিনেত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। স্টরমি ডেনিয়েলস নামে পর্ন চরিত্রে অভিনয় করে আসা স্টেফানিও এখন দাবি করছেন, ওই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। যদিও নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সাময়িকী ‘স্লেট’ প্রধান সম্পাদকের বরাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনা আসলেই ঘটেছিল। ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে স্লেটের সঙ্গে ধারাবাহিক সাক্ষাতকারে স্টেফানি তার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন বলে দাবি সাময়িকীটির সম্পাদক জ্যাকব ওয়েসবার্গের। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, স্টেফানি তখন বলেছিলেন যে তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে কোহেন তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ওই অর্থ পাওয়ায় দেরি হওয়ার প্রেক্ষিতে সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয়ার কথাও ভাবছিলেন স্টেফানি। নিজের বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণ হিসেবে ক্লিফোর্ডের সঙ্গে আদান-প্রদান করা মেসেজও দেখিয়েছেন ওয়েসবার্গ। তিনি জানান, মেসেজ চালাচালির এক পর্যায়ে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্টেফানি। ফলে তার অনুমতি ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেননি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় অর্থ পেয়ে যাওয়ায় মুখ বন্ধ করে ফেলেন স্টেফানি। ঠিক ওই সময়ে এবিসি টিভিতে ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন স্টেফানি। কিন্তু সমঝোতা হয়ে যাওয়ায় তা আর ঘটেনি।
×