ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কম্পিউটার বানাবে ওয়ালটন

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

কম্পিউটার বানাবে ওয়ালটন

আইটি ডটকম প্রতিবেদক ॥ নতুন বছরে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যের জগতে উন্মোচন হতে যাচ্ছে এক নতুন দিগন্ত। মোবাইল ফোনের পর এবার ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মনিটরের মতো উচ্চ প্রযুক্তিপণ্যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ যুক্ত হতে যাচ্ছে। এ মাসেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ওয়ালটনের কম্পিউটার কারখানা। গাজীপুরের চন্দ্রায় আগামী ১৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ওয়ালটনের কম্পিউটার উৎপাদন কারখানা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশ সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সাবেক সভাপতি ও বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তারা। ওয়ালটন সূত্র জানায়, কম্পিউটার কারখানার উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এরইমধ্যে ট্রায়াল প্রোডাকশন চলছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে সুবিশাল এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এই কারখানা। এখানে রয়েছে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট জাপানী ও জার্মান প্রযুক্তির মেশিনারিজ। এরইমধ্যে এসএমটি (সার্ফেস মাউন্টিং টেকনোলজি) সিস্টেমের মাধ্যমে পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) এর ওপর অতি নিখুঁতভাবে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পিন বসিয়ে উচ্চ গুণগতমানের পিসিবিএ বা মাদারবোর্ড তৈরি শুরু হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুদ। ওয়ালটন কম্পিউটার কারখানায় কর্মসংস্থান হবে এক হাজার লোকের। প্রাথমিকভাবে, এই কারখানায় মাসে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার ইউনিট ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ইউনিট ডেস্কটপ এবং আরও ৩০ হাজার ইউনিট মনিটর। পর্যায়ক্রমে কম্পিউটারের অন্যান্য এ্যাক্সেসরিজসহ পেনড্রাইভ, কীবোর্ড এবং মাউস উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন। ওয়ালটনের এই কারখানায় তৈরি হবে ইন্টেলের সর্বশেষ প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ। উৎপাদন হবে ৬ মডেলের ওয়ালটন ডেস্কটপ এবং ২ মডেলের ওয়ালটন মনিটর। সংশ্লিষ্টদের মতে, কম্পিউটার কারখানার উদ্বোধনের ফলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। সবার হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ তুলে দেয়া সম্ভব হবে। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় জাতি দক্ষ হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বিভিন্ন এ্যাসাইনমেন্ট এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি সহজ হবে। বেকার তরুণ-তরুণীরা প্রোগামিং, ওয়েব ডিজাইন, আউটসোর্সিংসহ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারবেন।
×