ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমেলায় মিলনস্রোত, হার মেনেছে তীব্র শীত

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্যমেলায় মিলনস্রোত, হার মেনেছে তীব্র শীত

ওয়াজেদ হীরা ॥ শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে বাবার কোলে চড়ে মেলায় এসেছেন ছোট্টশিশু ইমরানুল মোমিন। মেলা কি তা বোঝার বয়স তার হয়নি। বাবা-মা কার কাছে রেখে আসবে তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। শুধু কি শিশু? তারুণ্য থেকে বৃদ্ধ ছুটির দিনে সবাই মিলেছে বাণিজ্যমেলার মিলন। আর দর্শনার্থীর এই হার মানিয়েছে তীব্র শীতকেও। বিনোদন আর কেনাকাটায় দ্বিতীয় শুক্রবার বেশ জমজমাট ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সব বয়সী মানুষের কেন্দ্রবিন্দু এই মেলা। যে যার মতো পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মেলায় এসেছেন। সর্বপ্রথম যেন মিশে গেলো মেলাপ্রাঙ্গণে। শীত উপেক্ষা করে রং-বেরঙের শীতের পোশাকে হালকা কুয়াশায় মেলায় উপস্থিত হাজারো দর্শনার্থী। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যাও। দুপুর গড়িয়ে মিষ্টি বিকেলে মেলায় প্রবেশের প্রতিটি টিকেট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। মেলায় ৫০টি টিকেট কাউন্টার। তবুও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে দর্শনার্থীকে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট সংগ্রহ করলেও আপত্তি নেই দর্শনার্থীর। শাহবাজ তানভীর বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় এসেছি, ছুটির দিন একটু ভিড় হবে জেনেও এসেছি। আর টিকেট কাউন্টারের একাধিক দায়িত্বরত ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই শুক্রবার ভিড় বেশ বেড়েছে। গত শুক্রবারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানালেন তারা। মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই মেলাস্থলে শিশুদের হৈ-হুল্লোড় আর তারুণ্যের কোলাহলে মাতোয়ারা। এছাড়া বর্তমান তারুণ্যের বিশেষ শখ সেলফি উৎসব তো আছেই। শহুরের ইট-পাথরের আবদ্ধ পরিবেশে বড় হতে থাকা শিশুরা একটু খোলা মাঠ আর মানুষের কোলাহলে নিজেরাও মেতে ওঠেন আনন্দে। বাণিজ্যমেলায় অবস্থিত দুটি মিনি শিশুপার্কই এদিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে বাচ্চাদের বিভিন্ন রাইডে ওঠাতে হয়েছে। সাম্পান রাইডে চড়ে বেশ উচ্ছ্বসিত শিশু কুশল। পাশে দাঁড়ানো মা মেহেরুননেসা জানালেন, সন্তানের খুশির জন্যই মেলায় আসা। তবে কিছু গৃহস্থালি পণ্যও কিনেছেন এই গৃহিণী। এছাড়া অধিকাংশ নারীই ছুটেছেন গৃহস্থালি পণ্যের স্টলে। রান্নার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ কিংবা বিছানার চাদর যা বিভিন্ন অফারে বিক্রি হচ্ছে সেখানেই দৃষ্টি রেখেছেন গৃহিণীরা।
×