ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাকরি জাতীয়করণ দাবিতে এবার সিএইচসিপিএ’র সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

চাকরি জাতীয়করণ দাবিতে এবার সিএইচসিপিএ’র সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার এ্যাসোসিয়েশন (সিএইচসিপিএ) । শুক্রবার সকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সিএইচসিপি রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সিএইচসিপি এ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন লিটন বলেন, জনগণের দোড় গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রধান মাধ্যম কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মচারী কাজ করছে। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তারা নিরলসভাবে কাজ করলেও চাকরি স্থায়ীকরণ হচ্ছে না। ফলে প্রায় ১৪ হাজার পরিবারের কাছে ইনক্রিমেন্ট, বিনোদন ও প্রশান্তি ভাতাসহ সরকারের দেয়া সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বচ্ছলভাবে দিন কাটানো যাচ্ছে না। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি সেবা গ্রহণকারী কমিউনিটি সেবা পেলেও সরকারীকরণ না হওয়ায় নিদারুন অবহেলায় দিন কাটছে তাদের। সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অবহিত করা হয়েছিল-দ্রুত চাকরি জাতীয়করণ করা হবে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক সিএইচসিপিদের চাকরি গোপনীয় প্রতিবেদন খোলার চিঠি দেয়। কিন্তু এ দুটি চিঠি দেয়ার পরেও চাকরি রাজস্বকরণ হয়নি। একমাত্র সিএইচসিপি চাকরি রাজস্বকরণের মাধ্যমে সফলতার চাকা ঘুরানো না হলে কমিউনিটি ক্লিনিক একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে বলে তারা অভিমত তুলে ধরেন। চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় এরইমধ্যে অনেকেই চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ফলে তাদের অবস্থা একেবারেই নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে। আবার যারা চাকরি করছে দীর্ঘদিন কোন সুরাহা না হওয়ায় পরিবার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই পদে যারা চাকরি করছেন তাদের বেশির ভাগই মাস্টার্স পাস। তারা আর কোথাও ভাল চাকরির সন্ধানে যেতে পারছে না। এ অবস্থায় সিএইসিপিদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা বিভিন্ন কর্মসূচীও ঘোষণা দেন। এগুলো হলো, চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মসূচীকে সমর্থন করে শুক্রবার থেকেই রাজশাহী বিভাগের সকল প্রকার রিপোর্ট বন্ধ, ১৫ জানুয়ারি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে স্ব স্ব উপজেলা অবস্থান, ১৬ জানুয়ারি সিভিল সার্জন অফিসে অবস্থান এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মেনে না নিলে ঢাকায় আমরণ অনশন কর্মসূচী দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিএইচসিপি এ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফেরদৌস হোসেন, সোহেল রানা, শিফাত আহম্মেদ খান, মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, পাবনা জেলা সভাপতি শাহাবুল ইসলাম, সম্পাদক আজম আলী, বগুড়া জেলা সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান অন্তর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×