ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে লেপ তোষক বিক্রির ধুম

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

কেরানীগঞ্জে লেপ তোষক বিক্রির ধুম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১২ জানুয়ারি ॥ গত কয়েকদিন ধরে পড়া তীব্র শীতে কেরানীগঞ্জের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। কন কনে শীত থেকে রেহাই পেতে প্রতি দিনই লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। বিক্রেতারাও সুযোগ বুঝে দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠান্ড পড়ায় কেরানীগঞ্জে লেপ-তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক ও জাজিম তৈরিতে। ঢাকায় বর্তমানে অতি মাত্রায় শীত পড়াতে প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ-তোষকের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারে ইতোপূর্বে মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বাড়িতে তৈরি কাথা দিয়ে শীত নিবারণ করত। কিন্তু এ বছর গত কয়েকদিন ধরে প্রচ- শীত পড়াতে তারা বাধ্য হয়ে লেপ-তোষক ও জাজিম ব্যবহার করছে। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশি থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় অক্টোবর-নবেম্বর থেকেই। কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা, আগানগর, কালিগঞ্জ বাজার জিনজিরা বাজার, রুহিতপুর, কলাতিয়া, হযরতপুর ও কালিন্দি এলাকায় গড়ে ওঠা লেপ-তোষক বানানোর দোকানগুলোতে প্রায় তিন শতাধিক কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। জাজিম, লেপ ও তোষক তৈরির মজুরি হিসেবে তারা পান ছোট-বড় অনুযায়ী প্রতিটি জাজিম ছয় শ’ থেকে সাত শ’ টাকা, তোষক তৈরিতে পাচ্ছে চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা বিভিন্ন সাইজের। কদমতলী গোলচত্বর এলাকার লেপ-তোষক বানানোর মহাজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অত্র এলাকায় আমি ত্রিশ বছর যাবত শীত মৌসুমের লেপ-তোষক ও জাজিম তৈরি করে আসছি। কিন্তু এ বছর শেষ মুহূর্তে শীত বেশি পড়ায় ব্যবসা খুবই ভাল হচ্ছে। আশা করি এ বছর ব্যবসা আমরা টার্গেট মতো পৌঁছতে পারব। কারিগরদের মধ্যে আয়নাল হোসেন, রজমান মিয়া, আব্দুল জব্বার ও ইয়াসিন মিয়া বলেন, সাইজ অনুযায়ী এবার লেপ তৈরিতে খরচ পড়ছে সাত শ’ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজি ওজনের একটি জাজিম তিন হাজার পাঁচ শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
×