ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গণবিক্ষোভের আশঙ্কায় লন্ডন সফর বাতিল করলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

গণবিক্ষোভের আশঙ্কায় লন্ডন সফর বাতিল করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন না। সফরকালে নিজ দেশের নতুন দূতাবাস উদ্বোধনের কথা ছিল। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে সেখানে গণবিক্ষোভের আশঙ্কা দেখা দেয় বলে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। খবর গার্ডিয়ান ও এএফপির। টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, তিনি তার সফর বাতিল করছেন। যা আগামী মাসে করার কথা ছিল। কেননা সেখানে গণবিক্ষোভের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ ওবামা প্রশাসনের লোকজনের কাছে আমি খুব জনপ্রিয় নই। যেজন্য তারা সবচেয়ে দুর্লভ দূতাবাস বিক্রি করে দেয় এবং এক শ’ ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে নতুন একটি দুতাবাস স্থাপন করে। যা খুবই খারাপ চুক্তি। দূতাবাস উদ্বোধনের ফিতা কাটার জন্য তারা আমাকে চায় না। সফরকালে নতুন একটি এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে দূতাবাসটি স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয় ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। সে সময় ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। আগের মেফেয়ার থেকে নাইন এলমস এলাকায় দূতাবাসটি স্থানান্তরিত হচ্ছে। যাহোক সরকারী সূত্রগুলো ওয়াশিংটনকে পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করবেন। ট্রাম্প ব্রিটেনে একটি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফরের আশা করেছিলেন। যদিও এর কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। সফরকে সামনে রেখে ব্রিটেনে গণবিক্ষোভের আশঙ্কা তৈরি হয়। সাত জানুয়ারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পুনরাবৃত্তি করেছেন যে, ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। ট্রাম্প ব্রিটেনে আসছেন। এক বছর আগে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। প্রথম কোন বিশ্ব নেতা হিসেবে তিনি সফরটি করেন। সে সময় মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণ জানান। মানবাধিকারকর্মীরা ট্রাম্পের সফরকে সামনে রেখে গণবিক্ষোভের ডাক দেয়। এমপিরা পার্লামেন্টে ভাষণ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রীয় সফরের কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তারপরও আশা করা হচ্ছিল, ট্রাম্প ব্রিটেন সফরের সময় একটি কম গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী মের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। কর্মকর্তারা চেষ্টা করছিলেন রানী এলিজাবেথের সঙ্গে প্রেসিডেন্টে বৈঠক করানোর। যাতে কোন রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার ব্যবস্থা থাকবে না। বিক্ষোভের আশঙ্কায় এ কাজগুলো করা হচ্ছিল।
×