ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২১ আগস্ট মামলা

প্রাসঙ্গিক বক্তব্য ও আইনী পয়েন্টে শুনানি করতে আইনজীবীকে পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

প্রাসঙ্গিক বক্তব্য ও আইনী পয়েন্টে শুনানি করতে আইনজীবীকে পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্পর্শকাতর ও বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আসামি মুন্সি মুহিবুল্লাহ ওরফে অভির পক্ষে তার আইনজীবী সাইফুর রশিদ সবুজ দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক পেশ করেন। তার যুক্তিতর্ক পেশ অসমাপ্ত রয়েছে। এ আইনজীবী তার মোয়াক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্কে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য দেয়ায় আদালত বিরক্তি প্রকাশ করে। এ সময় আদালত যুক্তিতর্কে আসামির জন্য প্রাসঙ্গিক হয়- এমন বক্তব্য ও আইনী পয়েন্টের আলোকে শুনানি করতে আইনজীবীকে পরামর্শ দেয়। অন্যদিকে আসামি আব্দুস সালাম পিন্টুকে আদালতে হাজির ব্যতিরেকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি। রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ আদেশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার ছিল এ মামলার যুক্তিতর্কের ৩০তম দিন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান, এ্যাডভোকেট আকরাম উদ্দিন শ্যামল, এ্যাডভোকেট মোঃ আমিনুর রহমান, এ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত। এছাড়া, আসামি আবদুস সালাম পিন্টুকে আদালতে হাজির ব্যতিরেকে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে কারাবন্দী আসামির হাজির ব্যতিরেকে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আবেদন নাকচ করে দেয়। এ সময় আদালত বলে- কারাবন্দী আসামির হাজির ব্যতিরেকে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিধান বিদ্যমান আইনে নেই। তবে আসামি পিন্টুর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত জানায়। গত ১ জানুয়ারি মামলার আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করে। মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ স্বতন্ত্র, নিঃস্বার্থ, দালিলিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষীদের দ্বারা দেয়া সাক্ষ্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধান কৌঁসুলি। তিনি আদালতে বলেন, ‘ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার প্রার্থী মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আইনের বিধানের আলোকে আসামিদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করছি।’
×