ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাকিল আহমেদ

শীতে ওয়েস্টার্ন আউটফিট

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

শীতে ওয়েস্টার্ন আউটফিট

জেঁকে বসেছে শীত। ঠাণ্ডা আবহাওয়া পুরোপুরি জানান দিয়েছে শীতের উপস্থিতি। তাই সবখানেই এখন শীতের পোশাক নিয়ে মাতামাতি। শীতে নিজেকে বাঁচানোর পাশাপাশি স্টাইলের বিষয়টিও নজরে রাখছে সবাই। শীতে মূল্যবান পোশাক মানেই ফ্যাশনেবল এমন ধারণা আমাদের সংস্কৃতিতে প্রচলিত। তবে গুছিয়ে নেয়া শীতের পোশাকের কালেকশনে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও রাখছে ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের ছোঁয়া। ঘরে বা বাইরে সবার আকর্ষণ এখন স্টাইলিশ পোশাক। উষ্ণ আমেজে এবারের শীতের পোশাকে এসেছে ওয়েস্টার্ন সাজ। মূল্যবান পোশাক মানেই ফ্যাশনেবল এমন ধারণা অনেকেরই। অন্যদিকে ফ্যাশনেবল হতে হলে পোশাক দামী বা ব্র্যান্ডেড হতে হবে, এটাও ঠিক নয়। ফ্যাশন-সচেতনতা শুধু পরিধেয়র মূল্যের ওপর নির্ভর করে না। আউটফিটের ভিন্নতার পোশাকের কালেকশনে এখন ছেলেমেয়ে যে কারও জন্যই শীত শুধু কাঁপুনি নয়, নিজেকে ফ্যাশনেবল লুক দেয়ার অন্যতম উপলক্ষ। কারণ এখানেই ফুটে উঠে ব্যক্তির স্টাইল সেন্স। সেক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন পোশাক ফ্যাশনের আধুনিকতার জন্যই জায়গা করে নিয়েছে। তাই শীতের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ওয়েস্টার্ন আউটফিটে নিয়ে এসেছে আধুনিক স্টাইলিস শীত উপযোগী পোশাক। ঋতু অনুযায়ী পোশাক তৈরির ট্রেন্ড খুব বেশি দিন হয়নি। তবুও শীতের পোশাকে ওয়েস্টার্ন আউটফিট তরুণ-তরুণী উভয়ের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কারণ ব্যস্ত জীবনে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক এখন হাতের নাগালে। সঙ্গে থাকছে স্টাইলিস লুক। বর্তমান ট্রেন্ডে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক থেকে শুরু করে ওয়েস্টার্ন পোশাকও আছে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের তালিকায়। যারা ফ্যাশন-সচেতন, তাদের কাছে দেশীয় পোশাক যেমন পছন্দের, একই সঙ্গে তারা পছন্দ করেন ওয়েস্টার্ন পোশাক। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে এক্সিকিউটিভ লেভেলের নারী-পুরুষরাও আজকাল ওয়েস্টার্ন পোশাক পরছেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ওয়েস্টার্ন পোশাক পরলেই কেবল ফ্যাশন-সচেতন হওয়া যায় না। কেননা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন লুকটাও খুব জরুরী। আমাদের দেশে হাই স্ট্রিট বা হাই ফ্যাশনে আগ্রহীর সংখ্যা কম। তবে স্টাইল বা ফ্যাশন সেন্সে এ দেশের তরুণ-তরুণীরা অনেক এগিয়ে। ব্র্যান্ডের পোশাকের চেয়ে স্টাইলে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বর্তমানের অনেক ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের আউটলেট তাদের তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ট্রেন্ডের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে। যার বেশির ভাগ আবার ওয়েস্টার্ন ঘরানার। ওয়েস্টার্ন ট্রেন্ডে লং শার্ট, পাতলা সোয়েটার, বেশ কিছু স্কার্ফ, টাইটস, প্যান্টস, বেসিক টি-শার্ট, জ্যাকেট-হুডি যে কোন ক্লোসেটের খুব সাধারণ এই পোশাকগুলোই এখন ব্যাপক জনপ্রিয়। ক্যাজুয়াল ড্রেসের পাশাপাশি অফিসের ফরমাল ড্রেস হিসেবে ব্লেজার ও ওভারকোট এখন অনেক মেয়ের পছন্দ। সাধারণত পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকের সাহায্যেই এটি করা হয়ে থাকে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই সালোয়ার-কামিজ কিংবা শাড়ির সঙ্গে লেয়ারিংয়ের কোন সুযোগ নেই। আর শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের ওপর কার্ডিগান বা শাল জড়িয়ে নেয়ার মানেই লেয়ারিং নয়। অধিকন্তু এ কাজে চাই যথেষ্ট দক্ষতা। ফুলসিøভ ভি-নেক, রাউন্ড নেক ধরনের বিভিন্ন সোয়েটার রয়েছে বাজারে। এগুলো ছেলেমেয়ে সবার জন্যই সমানভাবে মানানসই। এর সঙ্গে গলায় কালারফুল পাতলা মাফলার আপনার লুকে আনতে পারে অন্যরকম কিছু পরিবর্তন। সাধারণ কাপড়ের ব্লেজারের দাম ১ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, গ্যাবার্ডিন কাপড়ে তৈরি ব্লেজার পাওয়া যায় ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। মখমলের ব্লেজার ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়, মোটা সুতি কাপড়ের ব্লেজার ৫ হাজার টাকার মধ্যে এবং খাদি কাপড়ের তৈরি ব্লেজারগুলোর দাম শুরু ১ হাজার ২০০ থেকে। রাজধানীর ফ্যাশন হাউস আর্টিস্টি, স্মার্টটেক্স, মেনজক্লাব, ওটু, ফ্রিল্যান্ড, ক্যাটস আই, লা’রিভ, তানজিম স্ট্রিট, ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় ব্লেজার।
×