ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

আরপি সাহা ও তার ছেলে হত্যায় মাহবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

আরপি সাহা ও তার ছেলে হত্যায় মাহবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে টাঙ্গাইলের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহার হত্যাকা-ের মামলায় রাজাকার মোঃ মাহবুবের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আদেশ প্রদান করার জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের দুই রাজাকার লাখাই থানা রাজাকার কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী ও আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে ১১তম সাক্ষী মিনু চৌধুরী জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মি আমার ভাতিজা মিন্টুসহ ১১ জনকে হত্যা করেছে। জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ গুলো প্রদান করেছেন। টাঙ্গাইলের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহার হত্যাকা-ের মামলায় আসামি মোঃ মাহবুবের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। গত ২ নবেম্বর টাঙ্গাইলের মোঃ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, আসামি মাহবুবুর রহমানের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। আসামি মাহবুবুর রাহমান ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন। আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব ও রণদা প্রসাদ সাহার দারোয়ানসহ ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সবাইকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়। তাদের লাশ আর পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিড হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটন করে। তদন্তে মোঃ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়। রণদা প্রসাদ সাহার পৈত্রিক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা, থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যদের ধরে নিয়ে যান আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
×