ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

উবাচ

উনি ঝোল খান! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি বিগত জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও পরের সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাহলে কেন জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিল। জাতীয় নির্বাচন যে নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর আয়োজন তো তারাই করেছেন। অনেকেই বলেন দলের বেশিরভাগের মতামত অগ্রাহ্য করে বিএনপি প্রধান জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অবশ্য বেগম খালেদা জিয়ার এই মনভাবকে মাছ না খেয়ে ঝোল চেখে দেখার সঙ্গে তুলনা করেছেন। শেরপুরে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালেও জাতীয় নির্বাচন হবে। নৌকা এ দেশ এনেছে। নৌকা এ দেশ রক্ষা করতে চায়। আর যারা কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা হিসেবে দেশকে লুট করেছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতন না ঘটানো পর্যন্ত তিনি বাড়ি থেকে বের হবেন না বলে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। পরে কান কেটে ঠিকই বের হয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি গত নির্বাচন বর্জন করেছে। তাতে নির্বাচন আটকে থাকেনি। এই সংসদের স্পীকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় ফোরাম সিপিএ চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই সংসদের সদস্য ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি হয়েছেন। বিশ্ব এই দেশের সংসদ সদস্যদের মেনে নিয়েছে। কেউ চোখ বন্ধ করে যদি বলে, আমি দেখি না, দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে। তবে সেটা তার বিষয়। বিএনপি চোখ বন্ধ করে বলছে দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে। ডাইনোসর হয়ে যাবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন ক্রমেই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে পেরে উঠছে না জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলের প্রধানসহ তার ছেলেদের বিরুদ্ধে বিদেশী মিডিয়াতে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সৌদি আরবে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হলে সেই দেশে খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের বিপুল সম্পদ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে যে খালেদা পরিবারের যে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন তা আঁতকে ওঠার মতোই। আবার দেশেও এতিমখানার টাকা নিজেরা খরচ করেছেন বলে অভিযোগের বিচার চলছে। ক্ষমতায় থাকার সময় অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে বিভিন্ন কোম্পানিকে পাইয়ে দিয়েছেন তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো। এসব অভিযোগে এফবিআই বাংলাদেশে এসে তদন্ত করে গেছে। সিঙ্গাপুর থেকে এমন অবৈধ অর্থও ফেরত আনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দলটির প্রধান এবং তার ছেলেদের এই দুর্নীতে বিএনপি এখন টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। নেতাকর্মীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এখন বিএনপির কোন হরতালও জমে না। হরতাল ডেকে বিএনপি সকলকে ছুটি দিয়ে নিজেরাও হারিয়ে যায়। বিএনপির এই অবস্থাকে মরাগাঙের সঙ্গে তুলনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন মরা গাঙে জোয়ার আসে না। বিএনপি শুধু মাসে মাসে আন্দোলনের হুমকি দেয়। এক বছরের পরিসংখ্যান ঘেটে দেখতে বলেছেন এক বছরে কতগুলো আন্দোলন করেছে তারা। এরপর বরাবরের মতো বিএনপির দাবি প্রত্যাখ্যান করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থাকে ডাইনোসরের সঙ্গে তুলনা করে তাদের পতনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন ডাইনোসর হয়েছেন বিলুপ্ত হয়ে যাবেন। রিজভী কাদেরের বক্তব্যকে ‘ফাঁকা বুলি’ উল্লেখ করে, আওয়ামী লীগ এখন ভাঙ্গা কলসি। আর ভাঙ্গা কলসিই বাজে বেশি। ভয় দেখিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার মজাতে জনগণের কথার আওয়াজ আপনাদের কানে ঢুকছে না। দুর্বলের সঙ্গে হাত মেলাই না স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোন জোটে ভিড়ছেন তা নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির জোট হতেও পারে। জাতীয় পার্টি প্রধান এরশাদের কাছে এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন আগামী নির্বাচনে কী হবে না হবে তার আগাম মন্তব্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর শুনানি প্রক্রিয়া দেখে এরশাদ বরাবরের মতোই সেই বক্তব্যর সংশোধনী দিয়েছেন। আগের বক্তব্য বদলে এখন বলছেন দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না। তাই শক্তি সঞ্চয় করো, হাত এগিয়ে আসবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭ মামলা হয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা হয়েছিল, খালেদার এখনও পাঁচটা বাকি আছে! এরশাদ অবশ্য একই সঙ্গে বলছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের কাছে নিরাপদ নয়, আবার আওয়ামী লীগ বিএনপির কাছে নিরাপদ নয়। কিন্তু আমাদের কাছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষ সবাই নিরাপদ। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা ভাল না। আমার ধারণা সামনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তবে তাতে আমরা কিছু মনে করি না।
×