ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় পুরনো কাপড়ের কেনাবেচা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

শীতের তীব্রতা বাড়ায় পুরনো কাপড়ের কেনাবেচা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হঠাৎ করে সারাদেশে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে পুরনো কাপড়ের বেচাকেনা। গত কয়েক বছর মন্দাভাবের পর এখন চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন পুরনো কাপড়ের গাঁট কিনতে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দামও। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভরা মৌসুমেও শীত না পড়ায় লাভের মুখ দেখেননি চট্টগ্রামের পুরনো কাপড়ের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। এবার হঠাৎ করে হাড় কাঁপানো শীত পড়ায় ব্যবসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তারা। অন্য বছরের চেয়ে রমরমা ব্যবসা চলছে খাতুনগঞ্জে। কনকনে শীতের কারণে তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন পাইকারি বাজারে। এক ক্রেতা জানান, ‘শীতের কাপড় ভাল বেচাকেনা হচ্ছে। আমি এখানে মাল কিনতে এসেছি।’ প্রতিবছর শীতের মৌসুমে তাইওয়ান, কোরিয়া ও জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কয়েক শ’ কোটি টাকার শীতের কাপড় আমদানি করা হয়। কয়েক বছর আগে আমদানির পর গুদামে পড়ে থাকা কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে এখন। পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম জলিল বলেন, ‘আমরা আমদানিকারকেরা আমদানি কস্টের নিচেও বিক্রি করছি। চাচ্ছি যে আমাদের মালগুলো যেন না থাকে। যেহেতু দুই বছর শীত পড়েনি, মাল খুব কম সেল হয়েছে। এই বছর আমরা লসে দিয়েও বিক্রি করছি।’ খুচরা বাজারেও চলছে পুরনো কাপড় বেচাকেনার ধুম। দিনমজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ কিনছেন পুরনো কাপড়। সমিতির তথ্যমতে, মূলত সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, বেবি স্যুটসহ অন্তত ৫০ রকমের কাপড় আমদানি করা হয়। আর সারাদেশের এক কোটিরও বেশি মানুষ এই পুরনো কাপড় ব্যবহার করেন।
×