ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গল্পকে বেশি প্রাধান্য দেই -সজল

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

গল্পকে বেশি প্রাধান্য দেই -সজল

ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুন নূর সজল। নাটক নিয়ে সারা বছরই ব্যস্ততা তার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলছেন। অভিষেক হয়েছে সিনেমার পর্দাতেও। সেখানেও পেয়েছেন সাফল্য। এই দাপটে অভিনেতাকে নিয়ে লিখেছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : সমসাময়িক ব্যস্ততা কি নিয়ে? সজল : বেশকিছু খ- নাটকের কাজ করছি। এর মধ্য শেষ করেছি চয়নিকা চৌধুরীর ‘যে দৃশ্যে প্রেম নেই’ ও ‘সন্ধ্যার আগে’, দীপু হাজরার ‘ফেইক লাভ’, নুজহাত আলভী আহমেদের ‘কুচবরণ কন্যা,’ জুনায়েদ বিন জিয়ার ‘এমনো তো প্রেম হয়’ অনিক বিশ্বাসের ‘দ্রোহ’। এ ছাড়াও বেশকিছু কাজ নিয়ে সমসাময়িক ব্যস্ততা চলছে। আনন্দকণ্ঠ : ‘সন্ধ্যার আগে’ নাটকটি প্রসঙ্গে বলুন? সজল : দর্শকরা জানেন আমি অনেক দিন ধরেই গল্প এবং নাটকের মানের দিকে অনেক বেশি নজর দিচ্ছি। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অনেক সুন্দর একটি গল্প আছে এই নাটকে। আর ভাবনার সঙ্গে কাজ করেও ভাল লেগেছে। আমাদের জুটিবদ্ধ অভিনয় আশা করি দর্শকের ভাললাগবে। আনন্দকণ্ঠ : হারজিৎ ছবির কি অবস্থা? সজল : খুবই ভাল। একটা গানের কাজ বাকি আছে। সামনেই করা হবে। আনন্দকণ্ঠ : বড়পর্দা নিয়ে কোন ভাবনা আছে? সজল : আমি কখনও সুচিন্তিতভাবে কোন কাজ করি না। যখন যে কাজটা করতে ভাললাগে যে কাজটায় নিজেকে যুক্ত করতে ভাল লাগে। সে জায়গা বা মাধ্যমগুলোতে সব সময় কাজ করি। আনন্দকণ্ঠ : ধারাবাহিক নাটকের চেয়ে খণ্ড নাটকেই বেশি দেখা মিলে আপনাকে এর কারণ কি একটু খুলে বলবেন? সজল : ধারাবাহিক নাটক বরাবরই আমার কম করা হয়েছে। এটা আসলে আমি বলব নিজেকে নিজের চেয়ে ভাল তো কেউ বুঝে না। যেটা হয় সময় স্বল্পতার জন্য হয়ে থাকে। আমার কাছে মনে হয় যে কাজটা করব খেঁটে করতে চাই। একটা ধারাবাহিক নাটকের পা-ুলিপি অনেক বড় থাকে। সেটা করার জন্য সেই পরিমাণ সময় সুযোগ থাকা দরকার। সেটা আমার কাছে মনে হয় কম তাই ধারাবাহিক নাটকে কম দেখা যায়। আনন্দকণ্ঠ : শত ব্যস্ততার মধ্য চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ হয়? সজল : শত ব্যস্ততার মাঝেও যে যার ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় করে নেয়। আমিও করি। আমার সব ধরনের গল্পে কাজ করা হয় না। যে গল্পগুলো ভাললাগে সে গল্পে কাজ করি। গল্পকে বেশি প্রাধান্য দেই। একটা গল্প যদি ভাললাগে তাহলে দেখি ওখানে চরিত্র কি তো ভাবনার জায়গা তো অবশ্যই থাকে। একটা পা-ুলিপি একবার পড়লে কখনও বহুবার পড়তে হয় না। এবং পড়ার পর এক রকম চেষ্টা করি চরিত্রের সঙ্গে মানানসই করার। আনন্দকণ্ঠ : কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন? সজল : নেগেটিভ। আনন্দকণ্ঠ : নেগেটিভ কেন? সজল : ভাললাগে তাই। হয় না একজন অভিনেতা হিসেবে অনেক ধরনের চরিত্রে নিজেকে দেখতে ভাললাগে। পজিটিভ চরিত্র তো অনেক করছি। এখন নেগেটিভ চরিত্রে একটু আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আনন্দকণ্ঠ : বেশির ভাগ নাটকেই রোমান্টিক চরিত্রে দেখা গেছে। অন্য ধরনের চরিত্রের প্রতি আপনার আগ্রহ কম নাকি অন্য কিছু? সজল : একজন অভিনেতা হিসেবে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করতে ভাললাগে। তবে হ্যাঁ আমার কাছে যে চরিত্রগুলো এসেছে সেখানে দর্শকদের ভাললাগার বিষয়টিও এসেছে। তারা এ ধরনের চরিত্রে বেশি দেখতে চায়। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পরিচালক থেকেও এ ধরনের চরিত্রের জন্য অফার বেশি পেয়েছি। তাই মূলত তাদের আগ্রহর কারণেই রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করা হয়। আনন্দকণ্ঠ : নতুন বছরের প্রত্যাশা কি? সজল : ২০১৭ সালটা আমার বেশ ভাল কেটেছে। নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকবে গেল বছরের চেয়েও যেন ভাল কাজ করতে পারি। দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চাই।
×