ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারের পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর রায়ে শহীদ পরিবারগুলোর সন্তোষ

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

মৌলভীবাজারের পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর রায়ে শহীদ পরিবারগুলোর সন্তোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার, ১০ জানুয়ারি ॥ বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে থাকায় রায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। আজ বুধবার দুপুরের দিকে রায় ঘোষণার খবর চাউর হলে ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেন। জেলার রাজনগর উপজেলায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত থাকার ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ জনকে মৃত্যুদ- ও ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদ-ের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগী শহীদ পরিবারগুলো সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায় দ্রুত কার্যকর করে জেলা ও রাজনগরবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানান তারা। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ওজায়ের আহমদ চৌধুরী মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা ও আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত মৌলবি ইউনুছ আহমদকে সোনাটিকি গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের মধ্যে সামছুল হোসেন তরফদার, নেছার আলী ও মোবারক মিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় শহীদ ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। ১৯৭১ সালের ২৯ নবেম্বর খলাগ্রামের ধর বাড়িতে এই রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী গণহত্যা চালায়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও বুলেটের চিহ্ন রয়েছে দেয়ালের গায়ে। সেই দাগ দেখিয়ে খলাগ্রামের নিহত শতদল ধর চৌধুরীর ছেলে মামলার সাক্ষী শান্তিপদ ধর চৌধুরী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর হত্যাকারীরা শাস্তি পাবে। এতে আমরা খুশি হয়েছি। রায় দ্রুত কার্যকর করা হলে আমার পিতাসহ অন্য শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। শহীদ পরিবারের লোকজন জানান, আসামি পক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়া এবং যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরুর পর থেকে তাদের পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যে কোন মুহূর্তে শহীদ পরিবারগুলো আক্রান্ত হতে পারেন রায় ঘোষণার পর এমনটিই আশঙ্কা তাদের। এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আমীর আলী বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ায় রাজনগরের মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারগুলো সন্তুষ্ট। রায় কার্যকর করে রাজনগরকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি আমাদের।
×