ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু ১৪ জানুয়ারি

২৫ জেলায় শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল হাউসহোল্ড জরিপ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

২৫ জেলায় শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল হাউসহোল্ড জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের প্রকল্প ন্যাশনাল হাউসহোল্ড ডাটাবেজের (এনএইচডি) দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি হতে শুরু হবে তথ্য সংগ্রহের কাজ। চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রোকোণা জেলাসহ মোট ২৫টি জেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ খানা বা পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্র্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী সকল খানা (হাউসহোল্ড) ও এর সদস্যদের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করা হবে জাতীয় ডাটাবেজ। ফলে সরকারের চলমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীগুলোর উপকারভোগী নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন সহজ হবে। তিন পর্যায়ে সারাদেশ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ খানা থেকে সাক্ষাতকারের জন্য সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলের অংশ অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা চেয়েছে বিবিএস। এজন্য বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক, বিবিএস মহাপরিচালক আমীর হোসেন ও এনএইচডি প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৭টি জেলায় ৮৬ লাখ ৯ হাজার পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় ২৫ জেলায় তথ্য সংগ্রহণ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে সিলেট ও খুলনা বিভাগের ২২ জেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ^ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৬৮৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারী তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তথ্য যদি সঠিক না হয় তাহলে কোন পরিকল্পনা সঠিক হবে না। সঠিক সময়ে, সঠিক তথ্যের প্রয়োজন। এই ধরনের শুমারির মাধ্যমে সেই তথ্য পাওয়া যাবে। বিবিএসের তথ্য-উপাত্তের সঠিকতা বিষয়ক সমালোচনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। কারণ এটি স্থির কোন বিষয় নয়, চলমান। আর শতভাগ নির্ভুল পরিসংখ্যান দেয়া পৃথিবীতে কারও পক্ষে সম্ভব না। তবে প্রকৃত অবস্থার কাছাকাছি তথ্য পাওয়াও কঠিন কিছু না। স্বীকৃত সকল আন্তর্জাতিক পদ্ধতি মেনে বিবিএস সে লক্ষ্যে কাজ করছে। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ তথ্য ভা-ারের মাধ্যমে দরিদ্রপ্রবণ জনগাষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হবে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে দারিদ্র্য বিমোচনে সম্পদ হস্তান্তর সংক্রান্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন সহজ হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থা এ ধরনের কাজ করেছেন। এসব তথ্যের ক্রস চেকিং প্রয়োজন। এ কাজের দায়িত্ব পালন করতে পারে বিবিএস। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নত দেশের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যাতে এসব তথ্যের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উঠে আসে। সচিব কে এম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যে ডাটাবেজটি তৈরি করা হবে, সেটি সরকারের প্রায় ২৩টি মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর উপকারভোগী নির্বাচনে ব্যবহার করবে এবং এর সহায়তায় খানার আর্থ-সামাজিক শ্রেণী বিন্যাসের মাধ্যমে দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের প্রকৃতি এবং স্বরূপ নির্ধারণ করা সহজ হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জানানো হয়।
×