ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির মরণ কামড় ও আওয়ামী লীগের শত্রু নিজেরাই -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

বিএনপির মরণ কামড় ও আওয়ামী লীগের শত্রু নিজেরাই -স্বদেশ রায়

এ বছরটি আওয়ামী লীগ বা স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি অর্থাৎ জামায়াত-বিএনপি এবার মরণ কামড় দেবে। তারা জানে এবার নির্বাচনের মাধ্যমে বা কোনভাবে তারা যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির আরেকটি নতুন প্রজন্মের বিরোধী দল তখন গড়ে উঠবে। তার ধাক্কায় আওয়ামী লীগের নিজেকেও তখন অনেক সংস্কার করতে হবে। সেটা পরের কথা। এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তিকে ভাবতে হবে, জামায়াত-বিএনপির মরণ কামড় থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার বিষয়টি। জামায়াত-বিএনপি যে ক্ষমতায় যাবার জন্যে কোন মাপের জঘন্য পর্যায়ে যেতে পারে তা ২০১২, ১৩ ও ১৫ সালে দেশের মানুষ দেখেছে। তারা যেভাবে মানুষ পুুড়িয়ে হত্যা করেছে তা কোন অংশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এমনকি নাজী বর্বরতা থেকে কম নয়, বরং সমান বর্বরতম। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো এখনও এদেশে বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক নামে কিছু লোককে দেখা যায়, যারা এই বর্বরদের পক্ষে কথা বলে। এমনকি অতীতে যারা কমিউনিস্ট পার্টি করেছেন, তাদের অনেকেই এদের পক্ষে কথা বলেন। তারা সকলেই পরিচিত ও শ্রদ্ধেয়জন বা বন্ধু-বান্ধব। তাদের প্রতি বলতে ইচ্ছে করে, খালেদার নেতৃত্বে চলা পেট্রোল বোমায় মুখের অর্ধেক পুড়ে যাওয়া যে কোন এক তরুণীর সামনে গিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে তারপরে আপনি যদি মানুষ হন তাহলে পত্রিকায় খালেদার পক্ষে লেখেন, কোন আপত্তি নেই। তারপরে আপনি হাসিনা ও খালেদাকে সমান মাপে আনুন- কোন আপত্তি নেই। ওই তরুণীর সামনে কোন মানুষ এক মিনিট দাঁড়ানোর পরে তিনি আর খালেদাকে মানুষ হিসেবে ভাবতে পারবেন না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয়, কোন স্বার্থের কাছে এসব মানুষ নিজেকে বলি দিয়েছে যে, এখনও খালেদাকে, জামায়াতের লোকগুলোকে মানুষ হিসেবে চিন্তা করে। দেশের সাধারণ মানুষ খালেদার পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার কার্যকলাপ মনে রেখেছে। এখন আওয়ামী লীগকে তাদের কাছে প্রমাণ করতে হবে, তারা ভবিষ্যতে শুধু খালেদার পেট্রোল বোমার হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করবে না, তারা তাদের বিভিন্ন এলাকায় তাদের যে ছিঁচকে সন্ত্রাসী, যে চাঁদাবাজ নেতা আছে তাদের হাত থেকেও মানুষকে রক্ষা করবে। বাস্তবতা এখন এমন, কোন নির্বাচনের মাধ্যমেই খালেদার সরকারে ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে, দেশের উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে খালেদা কোনমতেই শেখ হাসিনার একশ’ ভাগের এক ভাগও নন। তাছাড়া বর্তমানের এই গ্লোবাল ভিলেজে, আধুনিক সময়ে, যেখানে দেশের অর্থনীতি পৃথিবীর অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত, সে সময়ে খালেদার মতো একজন অশিক্ষিত ভদ্রমহিলা দেশের জন্য কী করবেন? তাছাড়া দেশের নেতাকে সবসময়ই সৎ হতে হয়। শেখ হাসিনা পৃথিবীর পাঁচজন সৎ নেতার ভেতর তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে পৃথিবীর তিনজন দুর্নীতিবাজ নেতার ভেতর একজন খালেদা। শুধু তাই নয়, তাঁর উত্তরসূরি তারেক রহমান এত বড় দুর্নীতিবাজ যে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রিপোর্টে তাঁর দেশকে লিখেছিলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেন সে দেশের আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তারেক রহমানকে আমেরিকায় ঢোকা নিষিদ্ধ করেন। কারণ, তারেক এত বড় দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী যে, তার মতো লোক আমেরিকায় ঢুকলে শুধু আমেরিকা সন্ত্রাসের কবলে পড়বে নাÑ আমেরিকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এর বিপরীতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্মানের সঙ্গে আমেরিকায় বাস করছেন। সেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের উচ্চতর পড়াশোনা করছেন। তবে ওই যে দেশে প্রচলিত কথা আছে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করার জন্যে বাইরে থেকে কারও কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না, আওয়ামী লীগের নিজস্ব লোকরাই যথেষ্ট। সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা। গত নয় বছরে অতিবড় শত্রুও সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাজের কোন ত্রুটি ধরতে পারেননি। বরং শত্রুও স্বীকার করবেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে গত নয় বছরে গ্রাম পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার ঘটেছে। যদিও এখন আর দেশে গ-গ্রাম বলতে কিছু নেই, তারপরেও গ্রামে বসেও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভর্তির ফরম থেকে জমির পর্চা নেয়া পর্যন্ত অনেক কাজ হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ই-কমার্স। কোরবানির গরু গ্রামে বসেই ই-মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নতুন প্রজন্মের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের একটি বড় অংশ নীরবে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাঙালীর চরিত্রে এই কাজের ধারা এনেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সজীব ওয়াজেদ জয়। আড্ডাবাজ, বাক্যবাগীশ বাঙালীকে কিছুটা হলেও কর্মমুখী করতে সমর্থ হয়েছেন। এটা যে একটা জাতীয় চরিত্রের জন্যে কত বড় পরিবর্তন তা আজ বোঝা যাবে না ঠিকই, তবে পঞ্চাশ বছর পরে ইতিহাস আজকের এই ঘটনার মূল্যায়ন করবে। তবে ওই যে বাক্যবাগীশ বাঙালী এখনও রয়ে গেছেন, তাই তাদেরই একজন মন্ত্রী হয়েই সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৯ বছরের বিশাল সফলতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। মোস্তাফা জব্বারকে শেখ হাসিনা টেলিকমিউনিকেশন ও আইসিটির পূর্ণ মন্ত্রী করার পরে তিনি বলে বসলেন- ‘শেখ হাসিনা তাকে একটি ডুবন্ত নৌকা জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন’। তিনি বাংলার ছাত্র, কম্পিউটারে বাংলা টাইপের ক্ষেত্রে অনেকের মতো তাঁরও একটা অবদান আছে। এছাড়া বাস্তবে একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী। তাঁর উচিত ছিল মন্ত্রণালয়ে বসে অন্তত এক মাস সময় নিয়ে দেখা যে গত নয় বছর এই মন্ত্রণালয়টি কী কী কাজ করেছে। তাছাড়া, তাঁদের উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে বিষয়গুলো বুঝে নেয়া। কারণ, জয় কম্পিউটার সায়েন্স ডিসিপ্লিনের। তিনি বিষয়গুলো যেভাবে বুঝবেন, বাংলার ছাত্র মোস্তাফা জব্বারের ওভাবে ডিটেইলস জানার কোন সুযোগ নেই। যেমন হজ নিয়ে যে বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব গেছে, ওই বক্তব্যের গোটা অংশ কিন্তু প্রচার হয়নি। কেউ শোনেনওনি। সেখানকার ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোন কথা বলব না আমি। তবে সেখানে তিনি তাঁর মন্ত্রণালয় চালানোর বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। মোস্তাফা জব্বারের উচিত হবে সেটা শুনে নেয়া। কারণ, ব্যবসায়ীদের থেকে প্রকৃত রাজনীতিবিদরা মন্ত্রণালয় চালানোর ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ হন। তারা জানেন, কার কাছ থেকে কোন সাহায্য নিতে হয়। লতিফ সিদ্দিকী তাঁর ওই ঘরোয়া আলোচনা সভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘জয় আমাদের মাস্টার, তাঁর কাছ থেকে আমরা প্রতি মুহূর্তে শিখি।’ সত্তরোর্ধ লতিফ সিদ্দিকীর যখন এই শেখার আকুতি ছিল, সেখানে এখনও ষাটোর্ধ একজন যুবক মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রণালয়ে না বসে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে কিছু না শুনে এভাবে বর্তমান সরকারের ৯ বছরের সাফল্য, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাফল্যকে- ডুবিয়ে দিলেন! একি অজ্ঞতা না উন্মাদনা, না অন্য কিছু? বাস্তবে কখনই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোন প্রতিপক্ষ নেই। আওয়ামী লীগ মানেই স্বাধীনতার পক্ষ। কোন দেশে স্বাধীনতার কোন প্রতিপক্ষ থাকতে পারে না। সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী কিছু লোক বা একটি গোষ্ঠী থাকতে পারে। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত তেমনি একটি গোষ্ঠী। এরা মূলত একটি ডাকাতের দল। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আফগানিস্তানে যেমন বাচ্চাই সাকো দেশকে লুট করেছিল, এরাও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশের সম্পদ লুট করতে, অর্থাৎ ক্লেপটোক্রেসি চালু করা। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি স্পষ্ট করে লিখেছিলেন তার দেশকে যে, তারেক তার দেশে ক্লেপটোক্রেসি চালু করেছে। আর যারা তারেককে নিয়ে মরিয়ার্টির পাঠানো রিপোর্টটি পুরোপুরি পড়েছেন তাঁরা জানেন খালেদার নেতৃত্বে তারেক কীভাবে লুট করেছিল এই দেশ। অন্যদিকে জামায়াত একটি খুনী, ধর্ষক গোষ্ঠী। তাদের কথা রাজনীতিতে আসবে কেন? তাদের রাজনৈতিক অধিকারও বা থাকবে কেন? তাই বাস্তবে এ দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনই। তাদের কাজ, তাদের কথাবার্তাই এই দলটিকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। যেমন, মোস্তাফা জব্বার চেয়ারে বসার আগেই সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডুবিয়েছেন। তেমনি শিক্ষামন্ত্রী ঘুষ খাবার জন্য তত্ত্ব দিয়েছেন। আবার ৬১ সাল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বলে দেশের বেশি সংখ্যক মানুষের শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে আগামী এক বছর আওয়ামী লীগের জন্য শুধু নয়, দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সারাদেশে সফর করবেন। এ সময়ে শেখ হাসিনাকেই দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে, গত নয় বছরে তিনি যেমন বিশাল উন্নয়ন করেছেন, জঙ্গী দমন করে সুশাসনের পথে এনেছেন দেশকে, আগামীতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দেশের মানুষকে সুশাসন দেবেন। আর কোন আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী কোন এলাকায় সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজি করতে পারবে না। মানুষ শেখ হাসিনার কাছ থেকেই আশ্বাস চান। কারণ, দেশের মানুষ এখন একজন মানুষকেই বিশ্বাস করেনÑ তিনি শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ মনে করেন, এ দেশের ভাগ্য বদলে দেবার জন্য তাঁর বিকল্প কেউ নেই। পাশাপাশি প্রয়োজনে এই বছরে মন্ত্রিসভায় আরও রদবদল দরকার হলে সেটা করেও তাঁকে আরও গতিশীল করতে হবে তাঁর সরকারকে। খুঁজে বের করতে হবে, কেন কিছু কিছু অনাহূত বিষয় ঘটছে। যেমন, বাজারে পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও পেঁয়াজের দাম বাড়া, মৌলবাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করার উদ্যোগ নিতেই সরকারীসহ প্রগতিশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন অস্থিরতা তৈরি হয়- এগুলো কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঘটনার পেছনের রহস্য খুঁজে বের করা দরকার। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে অনেক আওয়ামী লীগ নেতার লাগামহীন কথাবার্তা কাজ করছে। অন্যদিকে আগামী আট নয় মাসের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা এই মৌলবাদী চক্র ঘটানোর চেষ্টা করবে। যেমন, সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনদের একটি বিবৃতি পত্র-পত্রিকায় এসেছে। এটাও কিন্তু একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ, তারা সংবিধান বিশেষজ্ঞ হয়েও সংবিধানে থাকা বিধানকে অস্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। বিচারাঙ্গন বর্তমানে শান্ত আছে। আবার অস্থির করতে চাচ্ছে এই ধরনের লোকেরা। এই বিবৃতি তার একটি সূচনা কিনা খুঁজে দেখতে হবে। বিচারাঙ্গনেও লোভী ও বাক্যবাগীশ কিছু আওয়ামী লীগার আছে। তারা কিন্তু ন্যূনতম আদর্শ ও সততা মেইনটেইন করেন না। তাই এই ষড়যন্ত্রও শেখ হাসিনাকে রুখতে হবে। ২১ বছর টানা রাজপথে, ২৪ বার মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন, ২০০১-এর ষড়যন্ত্রের পরেও দলকে সোজা রাখা, ১/১১ এর ষড়যন্ত্র, ২০১২, ১৩ ও ১৫ এর গৃহযুদ্ধ মোকাবেলা করার পরে আর কোন প্রশ্ন থাকে না এই বলে যে, পারবেন তো শেখ হাসিনা? তবে তাঁর সহকর্মীদের কথা নয় কাজে বড় হয়ে তাকে সহযোগিতা করতে হবে। শেখ হাসিনার সহকর্মী মানে এই নয় যে, শুধু সুখ ভোগ করব। তাঁর মতো মৃত্যুকে উপেক্ষা করতে পারলে, তাঁর মতো দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে পারলেই কেবল তাঁর সহকর্মী হওয়া যায়, অন্যথায় নয়। শেখ হাসিনার সব থেকে বড় শক্তি তাঁর মতো অকুতোভয় এবং অক্লান্ত বহু কর্মী আছেন তাঁর সারা দেশে। দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে। গত নয় বছরে তাঁরা কিন্তু কোন সুযোগ নেননি এমন কোন বেফাঁস কথাও বলেননি যে, তাঁর এলাকায় আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা বেকায়দায় পড়ে। আর এখানেই মূল ভরসা। এঁরাই ২০১২, ১৩ ও ১৫-এর গৃহযুদ্ধ ঠেকিয়ে দিয়েছেন। এঁরা সমর্থন দিয়েই গত নয় বছর শেখ হাসিনাকে উন্নত দেশ গড়ার সুযোগ দিয়েছেন। আবার এই মানুষেরাই শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে এবার জামায়াত-বিএনপির বাকি অংশটুকু নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। যাতে করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী বলে আর কোন শক্তি না থাকে। [email protected]
×