ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৯

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৯

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বুধবার খুলনার কয়রা, যশোরের বাঘারপাড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। খুলনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। বাঘারপাড়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এসব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, এসব ঘটনা বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর যশোর অফিস ও স্টাফ রিপোর্টারের। খুলনা অফিস ॥ কয়রা উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা চলাকালে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দলীয় সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগে দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বিবদমান। মূল দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও দ্বিধা বিভক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আয়োজিত সমাবেশে বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ শুরুর পর পর ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্কুলের অপর পাশ থেকে একটি পক্ষ সমাবেশ স্থল লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় সমাবেশের চেয়ার ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশ মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ তার অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন। হামলা-পাল্টা হামলার সময় সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাবেশ স্থল ফাঁকা হয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে সমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। আহত ছয় জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যশোর অফিস ॥ বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অফিস ভাংচুরের ঘটনার পর বুধবার সকালে ফের সংঘাত হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি পক্ষের নেতা সোহানকে একা পেয়ে মারধর করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। সোহান দোহাকুলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
×