ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রাবনী আক্তার সান

স্মিথ-কোহলির অন্য লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

স্মিথ-কোহলির অন্য লড়াই

বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসনকে বলা হয় ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে নিজ নিজ দলের প্রাণভোমরা তারা। প্রায় সব ফরমেটে শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লড়াইয়ে উঠে আসে এই নামগুলোই। বিদায়ী ২০১৭ সালে রান সংগ্রহ এবং র‌্যাঙ্কিং দুই ক্ষেত্রেই টেস্টের সেরা স্মিথ, আর ওয়ানডতে কোহলি। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যান র‌্যাঙ্কিংয়ে আগেই ভারত অধিনায়কের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। বছর শেষে সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ পয়েন্ট! ঘরের মাটিতে টানা তিন জয়ে ঐতিহ্যের এ্যাশেজ পুনরুদ্ধারে পথে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। সিরিজের পাঁচ টেস্টে অসি-অধিনায়কের স্কোরÑ ১৪১*, ৪০, ৬, ২৩৯, ৭৬ ও ১০২* ও ৮৩! ক্যারিয়ারসেরা ৯৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা স্মিথ এরই মধ্যে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ঠিক পেছনে, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয়সেরা। ২০১৭ সালে ৬ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৭৬ গড়ে সর্বোচ্চ ১৩০৫ রান করেছেন স্মিথ। টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৭৬ গড়ে ১০৫৯ রান নিয়ে চতুর্থ স্থানে কোহলি। তবে বিদায়ী বছরে ৬ সেঞ্চুরি ও ৭ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৭৭ গড়ে সর্বোচ্চ ১৪৬০ রান নিয়ে ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহাক কোহলি র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে। টেস্টে স্মিথের পয়েন্ট যেখানে ৯৪৭, কোহলির সেখানে ৮৯৩। মেলবোর্নে এ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টে স্মিথের সেঞ্চুরি যে সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব রেখেছে, তা বলাই বাহুল্য। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর হালনাগাদ করা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৩৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন স্মিথ। অর্থাৎ মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করে কোহলির সঙ্গে ৪৫ পয়েন্টের ব্যবধানকে ৫৪ পয়েন্টে উন্নীত করে বছর শেষ করেন তিনি। টেস্টে কোহলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে স্মিথ বছর শেষ করলেও ছুঁতে পারেননি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের কীর্তিকে। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন স্যার ডন। স্মিথ তাঁর নিকটতম ব্যাটসম্যান, মানে র‌্যাঙ্কিংয়ে রেটিং পয়েন্ট অর্জনের ইতিহাসে শুধু স্যার ডনই স্মিথের ওপরে। ২০১৭ শেষে পরবর্তী তিন ব্যাটসম্যান যথাক্রমে চেতেশ্বর পূজারা (৮৭৩ পয়েন্ট), কেন উইলিয়ামসন (৮৫৫ পয়েন্ট) ও জো রুট (৮৫৫ পয়েন্ট)। টেস্ট বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংলিশ পেসার জেমস এ্যান্ডারসন (৮৯২ পয়েন্ট)। পরবর্তী চার বোলার কাগিসো রাবাদা (৮৮৩ রেটিং পয়েন্ট), রবীন্দ্র জাদেজা (৮৭০ রেটিং পয়েন্ট), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৮২৯ রেটিং পয়েন্ট), জস হ্যাজলউড (৮১৯ রেটিং পয়েন্ট)। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না থাকলেও টেস্ট অলরাউন্ডারদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তাঁর পয়েন্ট ৪৩৭। জাদেজা ৪১৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। সাকিব টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশীদের মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষে। ৬৫৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে ২০-এ তামিমের সঙ্গে আছেন তিনি। আর বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যেও টেস্টে সাকিব সবার ওপরে। ১৮ নম্বরে। ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছেন সেনসেশনাল পাকিস্তানী পেসার হাসান আলি। অলরাউন্ডার পজিশনে মোহাম্মদ হাফিজ। টি২০’র সেরা ব্যাটসম্যান এ্যারন ফিঞ্চ, বোলার ইমাদ ওয়াসিম ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিকেটারদের একজন তিনি। অথচ তিনিই কি না ক্রিকেট খেলা দেখা পছন্দ করেন না। হ্যাঁ এটাই সত্যি! অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ নিজেই জানালেন এমন অবাক করা তথ্য। ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে একের পর এক রেকর্ড করে যাচ্ছেন। চলমান অ্যাশেজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ইতোমধ্যেই দলকে সিরিজ জিতিয়েছেন স্মিথ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, যে ক্রিকেটের সাথে তার বসবাস; সেই ক্রিকেট খেলাই দেখেন তিনি। স্মিথ বলেন, ‘আসলে আমি টেলিভশনে খেলা দেখতে পছন্দ করি না। আমি শুধু আমার ব্যাটিংটাই পছন্দ করি এবং এটাই ঠিকঠাকভাবে করতে পছন্দ করি।’ এ্যাশেজে প্রথম চার টেস্টেই করেছেন ৬০৪ রান। জয় পাওয়া শেষ টেস্টেও হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হয়েছেন সিরিজসেরা। এরই মধ্যে আছে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি। ক্রিকেট তেমন পছন্দ না করেও এত সফলতা কীভাবে পেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্মিথ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি আসলে এর উত্তর জানি না। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি শুধু ব্যাটিংটা করে যাই।’ ২০১৭ সালে ছয় সেঞ্চুরিতে ৭৬.৭৬ গড়ে ১৩০৫ রান করেছেন স্মিথ। অথচ সেই ক্রিকেটারের মুখেই কিনা এমন কথা! অন্যদিকে অধিনায়ক হিসেবে একের পর এক সাফল্য এনে দিচ্ছেন কোহলি। ফাইল ছবি বিরাট কোহলি যে ভালো অধিনায়ক, সেটা ভারতের খেলা দেখলেই বোঝা যায়। অধিনায়কের আগ্রাসী মানসিকতা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দলেই। ভারতের সফলতম অধিনায়কদের সঙ্গে এখনই তুলনা টানা হচ্ছে তাঁর। পরিসংখ্যান কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে এর চেয়েও বেশি কিছুর। সব সংস্করণ মিলে কোহলি সাফল্যে ছাড়িয়ে গেছেন রিকি পন্টিং কিংবা ক্লাইভ লয়েডদের! কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব বুঝে পেয়েছেন মাত্র দুই বছর হলো। সব সংস্করণ হিসাব করলে অবশ্য সেটা ছয় মাসের একটু বেশি। এই সময়ে ভারতীয় দল দারুণ খেলছে। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝে নিয়েছে গত বছর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা সিরিজ জিতে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়েও এখন এক নম্বরে ভারতীয় দল। কিন্তু এমন সাফল্যেই দুটি বিশ্বকাপ জেতা দুই অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড কিংবা রিকি পন্টিংকে ছাড়িয়ে গেছেন এতটা বলা বাড়াবাড়ি। কোহলি আসলে এঁদের ছাড়িয়ে গেছেন জয়-পরাজয়ের আনুপাতিক হারে। সব সংস্করণ মিলে কমপক্ষে ৬০ ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে কোহলির চেয়ে এগিয়ে নেই কেউ। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ মিলিয়ে ৭৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। এই ৭৪ ম্যাচে ৫৩ বারই জিতেছে কোহলির দল। হার মাত্র ১৩ ম্যাচে। বাকি ৮ ম্যাচের ভাগ্যে হয় ড্র লেখা হয়েছে কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। এর মানে ৭২.২২ ভাগ ম্যাচেই সফল কোহলি। তাঁর চেয়ে বেশ পিছিয়ে কিংবদন্তি লয়েড (৬৩.২৯ ভাগ)। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হওয়া পন্টিংয়ের সাফল্যও কোহলির চেয়ে কম (৬৭.৯০)। জয়-পরাজয়ের অনুপাতেও কোহলি এগিয়ে। প্রতিটি হারের বিপরীতে ৪.৩৩৩টি ম্যাচে জিতেছে কোহলির ভারত। সর্বজয়ী লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ৩.৩৩৩। পন্টিং এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে (২.৮৫৭)। ফিটনেস এবং পরিশ্রম করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে ভারতের হয়ে আরও ১০ বছর খেলতে চান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দু মাস পরেই ২৯ বছর বয়স হয়ে যাবে বিরাটের। তবে আরও এক দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে দেখতে চাইছেন ভারতের অধিনায়ক। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, আমরা অনেকেই ঠিকমতো জানি না, ঠিক কতদূর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। অনেক সময় অজান্তেই আমরা নিজেদের দক্ষতার ৭০ শতাংশ প্রয়োগ করতে পারি। তাই ফুরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকেরই চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। আমি এখন যেভাবে অনুশীলন করি, তাতে আশা করি আরও ১০ বছর খেলতে পারব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে বিরাটের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় দল। এই সফরে তিনটি টেস্ট, পাঁচটি একদিনের ম্যাচ এবং একটি টি-২০ ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। ঘরের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১এ ওয়ানডে জয় কোহলিকে বসিয়েছে আরও উঁচুতে। ও হ্যাঁ তার আগে গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন ব্যাটসম্যান কোহলি। কিংবদন্তি প্রাক্তন ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিরাট কোহলি। চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি টপকে গেলেন কিংবদন্তি প্রাক্তন ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে। ভারতের রান মেশিন কোহলি রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দারুণ সফল। এজন্য তাকে ‘চেজ মাস্টার’ বলা হয়। চার মাস আগে গত ৬ জুলাই জামাইকার সাবাইনা পার্কে সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচে জিতেছিল ভারত। সেইসঙ্গে সিরিজও জিতেছে টিম কোহলি। অধিনায়ক কোহলির শতরানের ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। দলকে জেতানোর পাশাপাশি কোহলি ভাঙেন শচীনের রেকর্ড। একদিনের ক্রিকেটে রান তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরি সংখ্যায় শচীনকে টপকে গেছেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে কোহলি ১৮টি সেঞ্চুরি হাঁকান। শচীন করেছেন ১৭টি। তবে রেকর্ড নয়, জয়ের ধরনেই খুশি ভারত অধিনায়ক, ‘পরিসংখ্যান মাথায় রেখে ব্যাটিং করি না। আমার কাছে দলের জয়টাই সবার আগে। সিরিজ জয়ের ম্যাচে রান করতে পেরে ভাল লাগছে। অধিনায়ক হিসেবে দলকে এভাবে জিততে দেখাটা বেশ তৃপ্তিদায়ক’ বলেন কোহলি। এতটুকু শোনার পর অনেকে কোহলিকে হেয়ালি ভাবতে পারেন। তবে পরের বাক্যেই পূর্বসূরি গ্রেট সম্পর্কে মন্তব্য করতেন সময়ের ক্রেজি হিরো, ‘শচীনের রেকর্ড স্পর্শ করা অসম্ভব। দুই যুগের ক্যারিয়ারে ২০০টি টেস্ট, সাড়ে ৪শ’র ওপরে ওয়ানডে খেলেছেন। ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। ভাবা যায়? কী অসাধারণ ব্যাপার! আমার মনে হয় না তার মতো এতদিন খেলে যেতে পারব। কিন্তু আমি ভারতীয় ক্রিকেটে পার্থক্য গড়ে দিয়ে তবেই ছাড়ব।’ শচীন যদি মাস্টার ব্লাস্টার হন, কোহলিকে চেজ মাস্টারই বলতে হবে। জ্যামাইকায় রান তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে ‘ক্রিকেট ঈশ্বরকেও’ ছাড়িয়ে গেছেন। রান চেজ করতে গিয়ে ২৩২ ইনিংসে শচীনের সেঞ্চুরি ১৭টি, ১০২ ইনিংসেই কোহলির ১৮। ১১৬ ইনিংসে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে লঙ্কান তিলকারতেœ দিলশান। এই পরিসংখ্যান কিন্তু গত অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি২০তে বিশ্রামে ছিলেন। বহুল আলোচিত আনুশকা শর্মার সঙ্গে বিয়েটা সেরে নিয়েছেন। টেস্টে কোহলির অধিনায়কত্বের বীরত্ব বাদ যাবে কেন? ব্যাট হাতে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। তবে রেকর্ড হিসেবে ব্যাটসম্যান কোহলিকেও ছাপিয়ে গেছেন অধিনায়ক কোহলি। এ বছরই বাংলাদেশের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদের একমাত্র টেস্টে ২০৮ রানের জয়ের মধ্য দিয়ে অধিনায়ক কোহলি গড়েছেন একগাদা রেকর্ড। সে পর্যন্ত ২৩ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১৫টিতেই দলকে জয় এনে দেন কোহলি। নেতৃত্বের প্রথম ২৩ টেস্টে জয়ের হিসেবে কোহলিই এখন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। নেতৃত্বের প্রথম ২৩ টেস্টে জয়ের হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই কোহলির উপরে মাত্র একজন। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ নেতৃত্বের প্রথম ২৩ টেস্টে জিতেছিলেন ১৭ ম্যাচে। তবে প্রথম ২৩ টেস্টে কোহলির সমান ১৫টি করে জয়ের কৃতিত্ব আছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনেরও। নেতৃত্বের প্রথম ২৩ টেস্টে ভারতীয়দের মধ্যে কোহলির পর রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, তিনি দলকে জিতিয়েছিলেন ১৪ ম্যাচে। ওই টেস্ট নিয়ে টানা ১৯ টেস্টে অপরাজিত কোহলির ভারত। এটাই ভারতের টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড। ভারত সর্বশেষ টেস্ট হেরেছিল ২০১৫ সালের আগস্টে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
×