ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের নয়া রাষ্ট্রদূত উ লিউইন ও মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে আবদুল হামিদ এ সহযোগিতা চান। রাষ্ট্রপতি নিজস্ব আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সক্রিয় উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন একথা জানান।খবর বাসস’র। আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, নয়া রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর আগে, ফ্রান্সের নয়া রাষ্ট্রদূত মারি এ্যানিক বুরদিন রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ফ্রান্সের অবদান এবং স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে ‘চমৎকার’ অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও জোরদার হবে। তিনি ফ্রান্সকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। এর আগে দূতদ্বয় বঙ্গভবনে পৌঁছলে তাদেরকে পৃথক গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশ দু’টির জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠে। এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ইনার হুইল’র সভাপতি ড. কাপিলা গুপ্তের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ইনার হুইল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী নারীদের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি শতাধিক দেশে সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশে সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি ইনার হুইলের আর্থ-সামাজিক কর্মকা-ের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে। রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×