ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সূর্যের দেখা মিলতেই মুহূর্তেই ঘর থেকে বের হলো হাজারো মানুষ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

সূর্যের দেখা মিলতেই মুহূর্তেই ঘর থেকে বের হলো হাজারো মানুষ

সমুদ্র হক ॥ সকালে মুহূর্তেই ঘর ছেড়ে বের হলো হাজারো মানুষ। রাস্তার ধারে জটলা- ‘কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ এমনই উচ্ছ্বাস। শীত যেন কিছু সময়ের জন্য রেহাই দিল কাবু মানুষকে। এই তো রাত শেষ হওয়ার কিছু আগেই শীতের তীব্রতায় মানুষের আর্তনাদ। লেপ কম্বলেও শীত যায় না। বিছানাকে মনে হয় তোষকের ওপর বরফ বিছানো। সকালে কী করে ঘর থেকে কাজে বের হবে মানুষ! এমন ভাবনা। ঠক ঠক করে কেঁপে ওঠা ফ্রিজিং মানুষকে স্বস্তি দিল সকালের মিষ্টি রোদ। ঝলমলে রোদের সে কী আনন্দ। কুয়াশার ঘন মেঘ কাটিয়ে বগুড়ার আকাশে মঙ্গলবার সকালে রোদ উঠেছে। এই ক’দিন শৈত্যপ্রবাহের দাপটে মুখ লুকিয়েছিল সূর্য। দিনে দেখা মেলেনি। লোকজন বলাবলি করেছে- এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘শুভ সকাল (গুড মর্নিং)’ বলা যায়। শীত, কুয়াশা ও শিশিরের দাপটে ‘শুভ দুপুর, শুভ বিকেল (গুড নুন, গুড আফটারনুন)’ পালিয়ে গিয়েছিল। রোদ ওঠার পর ওই কথাগুলো ফিরে এসেছে। তবে রোদ উঠেছে ঠিকই এরপরও কথা আছে। এই রোদ ক’দিন থাকবে! আবহাওয়া বিভাগ বলেছে এ মাসে (জানুয়ারি) আরও দু’টি শৈত্যপ্রবাহ আসছে। সেই শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা কত ডিগ্রীতে নামবে! সোমবারের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৫০ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে কম। পরের শৈত্যপ্রবাহ কী একশ’ বছরের মধ্যে আরও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা আনবে! জলবায়ু নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তারা যে আভাস দিচ্ছেন তাতে আগামীতে হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চলে হিমাঙ্ক মাইনাসে নেমে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখনই দেশের সর্বোত্তর পঞ্চগড় দিনাজপুর অঞ্চলে অতি ঘনকুয়াশা ও মধ্যরাতে মৃদু বৃষ্টির মতো শিশির ঝরছে। আগামীতে কুয়াশা- শিশির একত্রিত হয়ে তুষারপাত না ঘটায়। খেয়ালি প্রকৃতির এমন আচরণে এই কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় কী! এমন কথাও বলাবলি হচ্ছে। এবারের শীত মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। কৃষকরা বলাবলি করছে, এই ধরনের শীত পড়লে তো কোন ফসল কখন হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। সুধীজনের কথা : ফসলের প্যাটার্ন পাল্টে গেলে আবাদ কার্যক্রমের পরিবর্তন ঘটবে। গ্রামে, শহরে ও নগরীতে সাধারণ মানুষের দিনলিপিতেও পরিবর্তন ঘটতে পারে। শীত প্রধান দেশে লোকজন ঘরের মধ্যে আগুনের তাপে ঘরের উষ্ণতা বাড়িয়ে শীত নিবারণের ব্যবস্থা করে। দেশে বর্তমানে অনেক উচ্চবিত্তের বাড়িতে রুম হিটার আছে। মধ্যবিত্তরা ঘরের মধ্যে নির্দিষ্ট ও নিরাপদ স্থানে মাটির চুলায় চারকোল জ্বালিয়ে ঘর উত্তাপ করে নিতে পারে। এই প্রস্তাবনা বগুড়ার কয়েক সুধীজনের। এই মাসে (জানুয়ারি) আরও দু’টি শৈত্যপ্রবাহের কথা শুনে লোকজন এখনই ভাবতে শুরু করেছেন কীভাবে সেই শৈত্যপ্রবাহ পাড়ি দেয়া যায়।
×