ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টে শীঘ্র বিচারপতি নিয়োগ ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টে শীঘ্র বিচারপতি নিয়োগ ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, খুব শীঘ্রই সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগেও কিছু বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ই-প্রকিউরমেন্ট বিষয়ক ২১ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বাইরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এক সময় তিন বিচারপতি দিয়েও আপীল বিভাগ চলেছে। আমি মনে করি যে, আপীল বিভাগ তার কাজের যে চাপ সেটার জন্য যে সংখ্যক বিচারপতি প্রয়োজন সেই দিকটা বিবেচনা করে আপীল বিভাগে সেই রকমভাবে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।’ কতদিনের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলতে থাকবে চলতি জানুয়ারি মাস বা আগামী মাসের প্রথম কয়েকদিন। এ সময় তিনি জানান, চলতি মাসেই দশম জুডিসিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল যুগোপযোগী বিচার বিভাগ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নও তাই। তিনি বলেন, বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারী অর্থায়নে প্রথমবারের মতো বিচারকদের বিদেশে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যা অতীতে কখনও করা হয়নি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করণের সঙ্গে ক্রয় কার্যক্রমের একটা সম্পর্ক আছে এবং এই ক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক অর্থ জড়িত। সরকার ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায়। এক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূল করতে চায়। সে জন্য ই-প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আদালতগুলোতে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের মামলা-মোকদ্দমা হবে এবং তা দক্ষতার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে হবে। এজন্য বিচারকদের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধিমালা এবং ই-প্রকিউরমেন্ট সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। এরপর মন্ত্রী জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সের একটি সেশনে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং এ সংক্রান্ত কয়েকটি আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থী জেলা জজদের দুর্নীতি দমন আইনে বিচার করার সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান এবং তড়িঘড়ি করে বিচারকার্য শেষ না করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা নিষ্পত্তির পক্ষে মত দেন তিনি। এছাড়া দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহার রোধের বিষয়েও তাদের সজাগ থাকতে বলেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানও বক্তৃতা করেন।
×