ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের টিভি নাটক নিয়ে আমি আশাবাদী ॥ আদিত্য জনি

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশের টিভি নাটক নিয়ে আমি আশাবাদী ॥ আদিত্য জনি

আদিত্য জনি। এই সময়ের অন্যতম তরুণ নাট্যকার, নাট্য নির্মাতা ও প্রযোজক। অনেক গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতায় ২০১২ সালে নির্মাতা হিসেবে তার যাত্রা শুরু। এরপর বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করে প্রশংসিত ও নন্দিত হয়েছেন। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু কাজ করেছেন প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নির্মাতা পারভীন সুলতানা দিতির সঙ্গে। সম্প্রতি আরও একাধিক নাটক নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন আদিত্য জনি। সাম্প্রতিক নাট্যভাবনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। এ পর্যন্ত আপনার নির্মিত নাটক বিষয়ে জানতে চাই। আদিত্য জনি : আমার নির্মিত প্রথম একক নাটক ছিল ‘প্রথম ভালবাসা’। ২০১২ সালের ৩ আগস্ট নাটকটি প্রচার হয়। এরপর তার নির্মিত ‘আজ্ঞাতবাস’ নাটক নির্মাণের মাধ্যমে পরিচিত পাই। এরপর ‘চোখের আলো’ ও ‘পাশে থাকাই কাছে থাকা নয়’ দুটি নাটক নির্মাণ করি। প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির সঙ্গে যৌথ পরিচালনায় টেলিফিল্ম ‘অতিথি’ এবং নাটক ‘যেমন জামাই তেমন বউ’ এবং সলো ডিরেক্টর হিসেবে খ- নাটক ‘অনুক্ষণে অনুভবে’, ‘স্যালুট’, টেলিফিল্ম ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ নির্মাণ করেছি। নতুন নাটকের খবর কী? আদিত্য জনি : উত্তরার আনন্দবাড়িতে ‘পেন্সিলে আঁকা জীবন’ নামের একটি নাটকের শূটিং করলাম। এসএম তারেকের রচনায় নাটকে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর, তৌসিফ মাহবুব, সাবেরী আলম ও তারেক রহমান। নতুন বছরে এটিই আমার প্রথম কাজ। রোমান্টিক প্রেমের গল্প, তবে একটু ভিন্ন ধাঁচের। শিল্পীরাও বেশ ভাল করেছেন। অন্যান্য প্রডাকশনের মতো এ নাটকটি নিয়েও আমি আশাবাদী।গত বছরের শেষের দিকে নির্মাণ করেছি ‘স্বপ্নের করিডোরে’ নামে একটি নাটক। অন্তরীপ প্রডাকশন নিবেদিত নাটকটি রচনা করেছেন জহির করিম। নাটকটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন মিঠু মনির, প্রধান সহকারী পরিচালক মৌসুমী লাইজু, সহকারী পরিচালক সানী, হালিম মজুমদার শিমুল। নাটকে অভিনয় করেছেন শহিদুজ্জামান সেলিম, নওশীন, নোভা, তালহা খান, নাদীয়া মিম হৃদিতা ঋশিতা প্রমুখ। নতুন বছরে টিভি নাটকগুলোর অবস্থা কেমন হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? আদিত্য জনি : অতীতে আমাদের দেশীয় নাটকগুলো ভাল ছিল। এমনকি এই উপমহাদেশে আমাদের নাটকের যথেষ্ট সুনাম ছিল। বিশেষ করে বিটিভির ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘অয়োময়’, ‘এই সব দিনরাত্রি’ নাটকগুলো অসাধারণ ছিল। এখনও আছে, কিন্তু প্রেক্ষাপটটি একটু চেঞ্জ হয়েছে। আমার বিশ্বাস এ বছরসহ আগামী বছরগুলোতেও আমরা দর্শকদের ভাল কিছু নাটক উপহার দিতে পারব। এখন টিভি খুললে আপনি দেখতে পাবেন যে প্রতিটি টিভি চ্যানেলে যে সব নাটক অন-এয়ার হচ্ছে তার বেশিরভাগই কিন্তু ভাল। নাটকের নির্মাণ, গল্প, উপস্থাপনাও বেশ ভাল। ভালটা শুরু হয়েছে সুতরাং ভবিষ্যত অবশ্যই ভাল হবে বলে আমি মনে করি। একজন নাট্য নির্মাতা হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত অর্জন বা ব্যর্থতা কী? আদিত্য জনি : আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছি, সিঙ্গেল, টেলিফিল্ম বা ধারাবাহিক, আমার আমার অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আরও নিরীক্ষাধর্মী ও ভাল কাজ দর্শকদের উপহার দিতে চাই। আমার সৌভাগ্য প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি আপার সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল। তার সঙ্গে যৌথভাবে কয়েকটি কাজ করেছি। শুধু কাজের সময় নয় প্রতিটি মুহূর্তে তাকে খুব মিস করি। আর ব্যর্থতা বলতে, আমি আসলে ব্যর্থতা বলব না কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ভাল কাজের ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে আমাদের স্বল্প পরিসরে, স্বল্প বাজেটে অনেক কাজ করতে হয়, করতে বাধ্য হই আমরা। অনেক কম্প্রমাইজ করে কাজ করতে হয়। দেখা যায়, কিছু কিছু জায়গায় ছাড় দিতে হয়। সে জন্য কোন কোন সময় কোয়ালিটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এটুকু ছাড়া প্রাপ্তির পাল্লাই ভারি। তবে যত যাই বলি বাংলাদেশের টিভি-নাটক নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। -সাজু আহমেদ
×