ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী মৌসুম থেকে ইলিশ রফতানি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

আগামী মৌসুম থেকে ইলিশ রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকার আগামী মৌসুম থেকে ইলিশ রফানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ মেট্রিক টন। তাই আমরা আগামী মৌসুম থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সচিব মাকসুদুল হাসান খান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত না নিয়ে উপায় নেই। কারণ নদীতে যে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ে, তা চোরাই পথে বিদেশে চলে যায়। এজন্যে বাজারে দেখা যায় ১৬০০ টাকা বড় মাছের কেজি। আর ছোট মাছের দাম কম। এতে সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়। চোরাই পথে ইলিশ পাচার বন্ধ করতেই বৈধভাবে রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে আমরা যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি, তা আরেকটি বাংলাদেশের সমান। আমরা এ সীমানায় গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারিনি। গভীর সমুদ্রের মাছ আমরা আহরণ করতে চাই, এটিই আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ গরুর মাংস আমদানির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এ মুহূর্তে গরুর মাংস আমদানির কথা ভাবছে না। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রাহামা জাতের গরু উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই জাতের একেকটি গুরুতে এক টন পর্যন্ত মাংস পাওয়া যায়। এই গরু উৎপাদন পর্যাপ্ত হলে তখন দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। সুতরাং চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করতে পারলে কেন আমরা আমদানি করব?’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুধে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হইনি। এ জন্য আমাদের আরও ২/৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ একটা বাছুর বড় হয়ে গাভী হতে দুই বছর সময় দিতে হয়। এই সময়টিই প্রয়োজন।’ দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে মোট দুধ উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দৈনিক মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ছিল ৫১ মিলিলিটার, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ দশমিক ৯৭ মিলিলিটার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাংসের উৎপাদন হয়েছিল ১০ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ডিম উৎপাদন হয়েছিল ৪৬৯ কোটি পিস, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪৯৩ কোটি পিস।’
×