ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অকাল প্রয়াত তিন সুহৃদ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

অকাল প্রয়াত তিন সুহৃদ

রতন তনু ঘোষ, গোলাম ফারুক এবং শেখ মাসুদুর রহমান মামুন তিন জনই প্রায় কাছাকাছি বয়সের। আর তারা পরিবারের সঙ্গে আমাদের অনেকের আনন্দোজ্জ্বল সময়কে শোকস্তব্ধ করে পৃথিবী থেকে বিদায়ও নিয়েছেন কাছাকাছি সময়ে। তিনজন সুস্থ-সবল-কর্মঠ মানুষ, যাদের সৃজনী প্রতিভাও চমৎকার, তারা বড় অসময়ে ‘অভিমান’ করে চলে গেলেন, কী এমন বয়স হয়েছিল তাঁদের? এরই মধ্যে জীবনকে বিদায় জানাতে হবে? তিন সুহৃদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি সখ্যতা ছিল রতন তনু ঘোষের (১৯৬৪-২০১৬) সঙ্গে। যখন যেখানে দেখা-সাক্ষাত হয়েছে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কুশল, ভাব বিনিময় হয়েছে, সর্বদাই প্রাণবন্ত, কখনও তাঁকে মন খারাপ করতে দেখিনি। যতবার দেখেছি মনে হয়েছে অফুরন্ত প্রাণশক্তি তাঁর। সেই মানুষটিকে আর দেখব না চোখের সীমানায় ভাবতেই পারি না তা এখনও। লেখালেখি তাঁর নেশা। পেশা ছিল শিক্ষকতা। মৃত্যুপূর্ব মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ছিলেন। এ কলেজের শুরু থেকেই তাঁর যাত্রা শিক্ষকতা পেশায়। পঞ্চাশ বছর বয়সে ৫০টি গ্রন্থ (প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম-সাক্ষাতকার, কবিতা) প্রকাশ হওয়া কম কথা নয়; তার সুকুমার বৃত্তি, বিবিধ ভাবনা চিন্তার নির্যাস তাতে ফুটে উঠেছে। অজস্ত্র লিখেছেন। যখন যা মনে ধরেছে তা নিয়েই লিখতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর এই লেখালেখির সুবাদেই আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা। প্রয়াশই তাঁর সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা হতো, কিন্তু কখনও রাগতেন না। বরং হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিতেন, কখনও ঠাট্টার জবাব দিতেন ঠাট্টা করেই। রসবোধ ছিল তাঁর, ছিল সম্পর্ক রক্ষা করে চলার ক্ষমতাও; সহজে বন্ধুত্ব নষ্ট হতে দিতেন না। নিজের উদারতা বিভিন্ন কাজ-আচরণের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন। জন্ম, বেড়ে ওঠা, স্কুল-কলেজের শিক্ষাগ্রহণ শহর মুন্সীগঞ্জে। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায়। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেয়া এবং এর ফাঁকে ফাঁকে সময় বের করে লেখালেখি তাঁর প্রাত্যহিক অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। লেখায় তার জড়তা ছিল না। স্বচ্ছন্দেই লিখতে পারতেন। নিজের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে প্রচুর পড়াশোনা করতেন। বিদগ্ধজনদের সান্নিধ্য তাঁকে প্রাণিত, উদ্দীপিত করেছে। বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের জানার-বোঝার চেষ্টা করতেন। অনেকের সাক্ষাতকারও নিয়েছেন নিজস্ব তাগিদেই। রাজনৈতিক-সামাজিক বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখেছেন নিয়মিত বেশ ক’টি দৈনিকে এবং সাপ্তাহিকে। যা অনেক পাঠকের মনোযোগ, আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। লেখার ভাল হাত ছিল। অনায়াসে লিখতে পারতেন। তাঁর যোগাযোগ মেলামেশাই ছিল শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য তথা সংস্কৃতি জগতের লোকদের সঙ্গেই। তাঁকে যারা জানতেন-চিনতেন এমন কারও কাছেই রতন তনু সম্পর্কে অন্তত খারাপ মন্তব্য শুনিনি। তিনি নিজেও পরনিন্দা এড়িয়ে চলতেন-এর কারণ তার নৈতিক উৎকর্ষ। সর্বদা তাঁর আলোচনা ছিল লেখালেখি এবং বই প্রকাশ নিয়ে। প্রতি বছর একুশের বইমেলায় তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি এবং বই প্রকাশে যে আগ্রহ লক্ষ্য করেছি, তাতে মনে হয়েছে তিনি একজন সংস্কৃতিবান মানুষ। আত্মবিকাশের প্রচেষ্টা তাঁর নিরলস, নিরন্তর। বই প্রকাশে তার উৎসাহে কখনও কমতি ছিল না। মৃত্যুপূর্ব ৭২টি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে তার, ভাবা যায়! রতন তনু ঘোষের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠ হতে পেরে বুঝেছি, যে মানুষ আপন হবে সে এমনি এমনি হবে। তার স্বভাব চরিত্র তাঁকে আপন ভাবতে বাধ্য করবে। তাই যখন যে মুহূর্তে সেই দুঃসংবাদটি শুনলাম- তিনি আর নেই! তখন বন্ধু হারানোর বেদনা বড় নির্মমভাবে আঘাত হেনেছে। রতন তনু ঘোষ দেহ ত্যাগ করেছেন ৩ অক্টোবর ২০১৬ সালে। কিন্তু ধারণা করি তিনি আমার মতো আরও অনেকের মধ্যে সজীব থাকবেন। আমরা যারা তার অনুরাগী তাদের মধ্যে তিনি নিজের উপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেবেন। তিনি যে ক’টি গ্রন্থ আলোচনার জন্য দিয়েছেন সময়মতো সে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি বলে দুঃখবোধ রয়ে গেল। অসময়ে চলে যাবেন বলেই কি তিনি প্রচুর লিখেছেন এবং গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন? প্রায়শই মনে হয় তার চলে যাওয়ার পরের এ সময়ে আরও কত গভীরভাবে তাঁকে পেতে পারতাম। তার সান্নিধ্য আমাকে আর আনন্দিত করবে না এটা ভাবতেই খারাপ লাগে। রতন তনুকে নির্ভর করা যেত, যেত তাঁর প্রতি আস্থা রাখাও; আমার গ্রন্থ প্রকাশে তিনি কত যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, সে কথা ভাবতে গেলে, মনে হয় এমন মানুষই তো চাই বন্ধু হিসেবে। গোলাম ফারুকের সঙ্গে পরিচয় ২০০৫ সালের মার্চের মাঝামাঝি, যখন সমকালের সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দিয়েছি তখন। তিনি ছিলেন ফিচার এডিটর। একই ফ্লোরে প্রায় কাছাকাছিই ছিল আমাদের বসার অবস্থান। প্রথম দেখেই তাকে বন্ধু বৎসল মনে হয়েছে। তিনিও ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে ঠাট্টা তামাশা করতেন। যাকে পছন্দ করতেন তাকে একটু বেশিই প্রশ্রয় দিতেন। তাঁর সঙ্গে মিশে গল্প করে মনে হয়েছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ, পরিষ্কার। তিনি একটু স্পষ্টবাদী। সোজাসাপ্টা কথা বলাই তাঁর স্বভাব। তাছাড়া চাল-চলন, আচার-আচরণে বুদ্ধিদীপ্ত ভাব প্রকাশ পেত। তিনি যে অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানুষ সেটাও বুঝতে পেরেছি তাঁর কাজের ধরন দেখে। তিনি যেখানে কাজ করতেন নিজের স্বাধীনতা, কর্তৃত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকেই করতেন। অন্যায়, অবাঞ্চিত খবরদারি পছন্দ করতেন না। কাজের পরিবেশ-পরিস্থিতি খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারতেন এবং পরিস্থিতির আলোকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জানতেন। তাঁকে প্রথম দেখার পর থেকেই ধারণা করেছি সচ্ছল, প্রগতিশীল পরিবার থেকে এসেছেন। এক ধরনের আধুনিকতার ছাপও তাঁর মধ্যে লক্ষ্য করেছি। পর জেনেছি তাঁর পিতা লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী এবং রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাঁর জন্মশহর ময়মনসিংহ। শহুরে কালচার তাঁর স্বভাবসিদ্ধ। কারণ এ পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। পিতা-মাতার সামনে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে এমন সম্ভাবনাময় মেধাবী পুত্রের অকালে চলে যাওয়া যে কতটা বেদনাদায়ক ও শোকাবহ ঘটনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার অকাল মৃত্যুতে তার স্ত্রী, সন্তানের মনে যে অভিঘাতের সৃষ্টি হয়েছে তা কি সহসা ঘুচবে? গোলাম ফারুক মৃত্যুর আগে সর্বশেষ দৈনিক বণিকবার্তার উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি রেডিওতে কিছু দিন কাজ করেছেন। বণিক বার্তায় তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নিজ থেকেই বললেন সম্পাদকীয় পাতায় লিখুন এবং আমাকে সঙ্গে নিয়ে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। লিখেও ছিলাম কয়েকটি কলাম। বণিকবার্তায় গেলে তাঁর সঙ্গে দেখা ও কথা না বলে আসতাম না। পরিচয়ের পর থেকেই বুঝতে পেরেছি আমাকে তিনি পছন্দ করেন। সমকাল থেকে দু’জনই এক পর্যায়ে চলে আসার পর যখন যেখানে দেখা হয়েছে আমার অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আমি কোথাও স্থির হয়ে বসি তা চাইতেন, সহযোগিতার মনোভাবও লক্ষ্য করেছি। কে জানত ২০১৪ সালের ৬ অক্টোবর তিনি এ পৃথিবীকে চিরতরে বিদায় জানাবেন? আর কোনদিন তার সঙ্গে দেখা হবে না, কথা হবে না? জানতে চাইবেন না কোথায় কাজ করছেন? প্রগতিশীল, পরপোকারী যোগ্য মানুষগুলো দীর্ঘায়ু না হলে ক্ষতি শুধু তার এবং তার পরিবারের নয়, সবার। এ সত্য বুঝবে কি সবাই! শেখ মাসুদুর রহমান মামুন যেদিন মারা যান ১৮ নবেম্বর ২০১৬, তার দু’দিন আগেও বেইলি রোডে আমি মাহাবুব কামাল আর মামুন আড্ডা দিয়েছি রাতে। যখন কামাল উদ্দিন বাবলু ফোন করে মামুনের মৃত্যু সংবাদটি জানালেন তখন, আমরা বিস্ময়ে হতবাক। একী বলছেন? একজন উদ্যমী, পজিটিভ চিন্তার তরতাজা মানুষ, প্রচ- জীবনীশক্তি যার, যিনি নিজেকে সেই শৈশব-কৈশর থেকে সংগঠন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্যে নিবেদিত করেছেন, যার মার্জিত রুচি ও আচরণ ছিল অনুকরণীয়, যিনি নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলতেন, আবেগতাড়িত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না, কিছুটা বোহেমিয়ান টাইপের হলেও কখনও অন্যের ক্ষতির কারণ হননি। মামুন ভাইকে তাঁর এক সুহৃদ সংক্ষেপে আড়ালে ডাকতেন ‘মারমা’। এ নামটি পরবর্তীতে আমরা যারা তার ঘনিষ্ঠজন তারাও আড়ালে ব্যবহার করতাম। কতদিন তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে, কিন্তু তিনি অভিমান করতেন না, সর্বদা শালীনতা বজায় রেখে তর্ক করেছেন এবং নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছেন। ভিন্নমত পোষণ করেও যে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলা যায়, মাসুদুর রহমান মামুন তারই এক দৃষ্টান্ত। মামুন ভাই ভাল ছড়া লিখতেন, রাজনৈতিক কলামও লিখতেন। মৃত্যুর আগে ‘সাপ্তাহিক রোববারের’ সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি রোববারকে মানসম্মত পাঠকপ্রিয় পত্রিকা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। এর ফাঁকে ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে এতদিনে নিশ্চয়ই লাভবান হতেন। তবে তাঁর সঙ্গে মিশে আলোচনা করে মনে হয়েছে তিনি আসলে ব্যবসায়ী মানুষ নন; প্রয়োজনের তাগিদে যেটুকু করার তা-ই করছেন। মূলত তিনি রাজনীতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় অর্থাৎ সুবিধাবাদিতা ও আদর্শহীনতা নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্ন ছিলেন। মাঝে মাঝে তার কথায় ক্ষুব্ধ-হতাশাও প্রকাশ পেত। তবে এ জন্য তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে দায়ী করতেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের এই দিকটাতে তাঁর সঙ্গে আমাদের অনেকেরই দ্বিমত ছিল। তার পরও বলব মানুষ হিসেবে তাঁর অনেক ভাল দিক ছিল, যা আমাদের আকর্ষণ করত। সাপ্তাহিক মৃদুভাষণ অফিসে মাহবুব কামালের মাধ্যমে মামুন ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। প্রায়শই আমরা মাহবুব কামাল, বিভুদা, হাবীব, শেখ রোকন, মামুন ও খন্দকার শরীফ, সহ আরও কেউ কেউ একত্রে মালিবাগ, বেইলি রোড, চ্যামেলীবাগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিচার্সে, কখনও প্রেসক্লাবে এবং শেষের দিকে রোববার অফিসে দীর্ঘ আড্ডা দিয়েছি। সে সবই এখন স্মৃতি। মাত্র ৫৩ বছরের একজন স্বপ্নচারী মানুষ এভাবে কিছু না বলে চলে যাবেন তা ছিল ভাবনার অতীত। গত ১ যুগে তাকে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখছি ও বুঝেছি তিনি সংসারবিমুখ, অভিমানীও, কেন কি জন্য, কিসে তাঁর এ অভিমান কখনও জিজ্ঞেস করা হয়নি। ব্যক্তিগত বিষয় বলে, এ নিয়ে আলাপও করিনি। তবে অনেক পরে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন এবং প্রেম ও বিয়ে করে সংসারী হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু হায়, প্রেম হলেও বিয়ে করে সংসার ধর্ম পালন করা আর হলো না। মৃত্যুর আগে কি এই খেদ তাঁকে বড় বেশি পীড়িত করেছে? তর্কে-বিতর্কে, আনন্দ-বিষাদে মামুন ভাই স্মৃতির ক্যানভাসে জড়িয়ে থাকবেন। তাঁকে নিজ প্রয়োজনেই ভুলে থাকা যাবে না। প্রায় সমসাময়িক সময় তিনজন প্রতিভাবান মানুষ একে একে চলে গেলেন, যারা বেঁচে থাকলে আমাদের সংবাদপত্র, লেখালেখি ও চিন্তার জগত আরও খানিক সমৃদ্ধ হতে পারত। জীবন অনিশ্চিত এবং ক্ষণস্থায়ীÑ এ সত্যই অনেক কঠিনভাবে তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁরা কেউই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবেন না ঘনিষ্ঠদের থেকে। হয়ত কোন এক নীরব নির্জনে হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে তাদের স্মৃতির বীণা! পুনশ্চ: মামুন ভাইয়ের মৃত্যুর পরে ২০ নবেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যায় পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আমরা, মানে তার বন্ধুরা, একটি শোক-স্মরণ সভা করেছিলাম। তার কথা বলতে গিয়ে সেদিন অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। মাহবুব কামাল তো কেঁদেই ফেলেছেন। এ হচ্ছে তাঁর প্রতি কতটা ভালবাসা তারই প্রমাণ। লেখক : সাংবাদিক [email protected]
×