ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগন্তুক রেপার্টরির ধলেশ্বরীর অপেরা নাটকের মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

আগন্তুক রেপার্টরির ধলেশ্বরীর অপেরা নাটকের মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশজুড়ে বইছে হাড়কাঁপানো শীত। তাই বলে থেমে নেই সংস্কৃতির স্রোতধারা। তাই তো শীতলতা উপেক্ষা নাট্যপ্রেমীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা আঙ্গিনা। সোমবার সন্ধ্যায় তেমন শিল্পানুরাগীদের দেখা মিলল নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। পৌষালি সন্ধ্যায় এই মঞ্চে মঞ্চস্থ হয় আগন্তুক রেপার্টরির প্রযোজনা ‘ধলেশ্বরী অপেরা’। প্রযোজনাটি উঠে ধলেশ্বরী পাড়ের মানুষের জীবনচিত্র। সেই আখ্যানে বিন্যস্ত হয়েছে ওই জনপদের জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ও হাসি-কান্না। উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ অনুসরণে নাটকটির রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন পান্থ শাহরিয়ার। ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে ওঠা যাত্রাপালা দলে শুরু হয় ম্যাকবেথ নাটকের মহড়া। এ দলের প্রধান অঘোর নাথ। স্বভাবে বদ আর চরিত্রে মন্দ হলেও সেই ধলেশ্বরী অপেরার প্রধান নায়ক মুরাদ জংকে আশ্রয় দিয়েছিল ছোটবেলা থেকে। এক পর্যায়ের অঘোর নাথের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে মুরাদ জং। অপেরার নটি নয়নতারার প্ররোচনায় অঘোর নাথকে খুন করে মুরাদ জং। মুরাদ হন ধলেশ্বরী অপেরার প্রধান। এরপর অঘোর নাথকে হত্যার দায় চাপানো হয় যাত্রাপালার আরেক সদস্য সোলেমানের ওপর, বলা হয় সে পালিয়েছে। কিন্তু নাটকের শেষ অংশে মুরাদ জংয়ের স্মৃতিতে আসে মৃত আত্মাগুলো তার মধ্যে সোলেমানকে দেখতে পেয়ে কিছুটা ভ্রম লাগে। মনে প্রশ্ন জাগেÑসোলেমানকে কি তাহলে মেরে ফেলা হয়েছিল? নাকি সে সত্যিই পালিয়ে গিয়েছিল? প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ত্রপা মজুমদার, পান্থ শাহরিয়ার, রাশেদ শাওন, শতাব্দী ওয়াদুদ, ঝুমি, পল্লী, শাহীন, জাহাঙ্গীর, জামান, হারুন, হেনড্রি, উমা প্রমুখ। ‘রোহিঙ্গা : দ্য স্টেটলেস রিফুজিস ইন বাংলাদেশ’ ॥ শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের লবিতে চলছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘রোহিঙ্গা : দ্য স্টেটলেস রিফুজিস ইন বাংলাদেশ।’ আলোকচিত্র সাংবাদিক বায়েজীদ আকতারের তোলা ছবি দিয়ে সাজানো প্রদর্শনী। ফ্রেমে ফ্রেমে উঠে এসেছে বাস্তুচ্যুত ও রাষ্ট্রহীন মানুষের জীবনের বিয়োগ-বেদনা। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন জীবনের ৫১টি আলোকচিত্র। আজ মঙ্গলবার এ প্রদর্শনীর শেষ দিন। নাজনীন আমিনের ‘বন্ধন মাঝে নন্দন উচ্ছ্বাস’ ॥ অসুন্দরের মাঝে সুন্দরের স্বপ্ন কিংবা তার নির্মাণ বড় কঠিন এবং দুরূহ কাজ। সেই কঠিন কাজটিই করেছেন শিল্পী নাজনীন আমিন। রং-তুলির আঁচড়ে ছড়িয়েছেন আশার জাগানিয়া বারতা। চিত্রপটে উদ্ভাসিত জীবনের জন্য নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাওয়ারই অভীপ্সা। ক্যানভাসে মেলে ধরেছেন জীবনের জয়যাত্রা। রাজধানীর লালমাটিয়ার চারুশিল্পী সংসদ গ্যালারিতে চলছে এই শিল্পীর একক প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘বন্ধন মাঝে নন্দন উচ্ছ্বাস’। সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×