ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম আবাহনীর হারে রানার্সআপ শেখ জামাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, দাপুটে জয়ে তৃতীয় হওয়ার হাতছানি সাইফের, চট্টগ্রাম আবাহনী ০-৩ সাইফ স্পোটিং

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

চট্টগ্রাম আবাহনীর হারে রানার্সআপ শেখ জামাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, দাপুটে জয়ে তৃতীয় হওয়ার হাতছানি সাইফের, চট্টগ্রাম আবাহনী  ০-৩ সাইফ স্পোটিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে (বিপিএল) রানার্সআপ হয়েছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড। মজার বিষয় হচ্ছে, তাদের রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিয়েছে সাইফ স্পোটিং ক্লাব। রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২১তম রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পেশাদার লীগে প্রথম খেলতে আসা সাইফ। তাতেই শেষ রাউন্ডে মাঠে নামার আগেই রানার্সআপ হওয়া নিশ্চিত হয়েছে শেখ জামালের। দারুণ এই জয়ে তৃতীয় হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে সাইফের সামনেও। এর আগেই টুর্নামেন্টের শিরোপা নিশ্চিত করেছে ঢাকা আবাহনী। চার ম্যাচ আগেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হারের পর থেকে পথ হারিয়ে ফেলে তারা। এ নিয়ে টানা চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হারল তারা। অপরটিতে ড্র করেছে। অন্যদিকে দারুণ জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীকে টপকে তৃতীয় হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা জেগেছে সাইফের। বর্তমানে ২১ ম্যাচ শেষে আগের ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে চারে সাইফ। আর ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শেখ জামাল। চট্টগ্রাম আবাহনীর এই হারের ফলে শেখ জামাল ধানম-ি যদি তাদের শেষ ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোটিংয়ের কাছে হেরেও যায় তাহলেও স্থানের কোন হেরফের হবে না। অর্থাৎ রানার্সআপ নিশ্চিত অভিজাত পাড়ার ক্লাবটির। এখন পয়েন্ট তালিকায় যে অবস্থা তাতে শেষ রাউন্ডে চট্টগ্রাম আবাহনী জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৪৬। আর জামাল হেরে গেলেও তাদের পয়েন্ট থাকবে ৪৭। তবে শেষ রাউন্ডে যদি চট্টগ্রাম আবাহনী চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে যায় আর সাইফ রহমতগঞ্জকে হারায় তাহলে তৃতীয় হবে নবাগত সাইফ স্পোটিং। চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৫১। আগের তিন খেলায় জয়বঞ্চিত থাকায় ম্যাচের শুরু থেকেই সাইফের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। গোলের সুযোগও আসে বেশ কয়েকটি। অষ্টম মিনিটে হাইতির মিডফিল্ডার লিওনেল সেইন্টের শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। পরের মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ হাতাছাড়া হয় বন্দর নগরীর দলটির। বামপ্রান্ত থেকে লিওনেলের ক্রসে ফরোয়ার্ড চমরিন রাখাইনের হেড অল্পের জন্য দ্বিতীয় পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। টানা দুটি সহজ সুযোগ হারানোর মাশুলও দিতে হয়েছে জাহিদ হোসেনের দলকে। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই নিজেদের অধীনে নিয়ে নেয় সাইফ স্পোটিং। যার প্রথম ফসল আসে ২৬ মিনিটে। দারুণ গোলে এগিয়ে যায় চমক দেখানো দলটি। ডি বক্সের মাথা থেকে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ফ্রি কিকে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন সাইফের ইংলিশ ফরোয়ার্ড চার্লি এডওয়ার্ড শেরিংহাম (১-০)। এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় প্রথম আসরেই চমক দেখিয়ে চলা দলটি। ফলও পেতে খুব বেশি দেরি হয়নি। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। বামপ্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁয়ে আবারও বন্দর নগরীর দলের জাল কাঁপান চার্লি এডওয়ার্ড শেরিংহাম (২-০)। দুই গোল হজমের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র দেখা যায়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবারও গোল হজম করে বসে গতবারের রানার্সআপরা। এবার বামপ্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড মিরাজ হাসানের ক্রস ডি বক্সে উড়ে আসার পর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তার শট চট্টগ্রাম আবাহনীর শফিকুল ইসলামের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে প্রবেশ করে (৩-০)। তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সাইফ স্পোটিং। বিরতির পর দু’দলের খেলায় খুব একটা গতি ছিল না। তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও তেমন গোছালো আক্রমণ শাণাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের শেষদিকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেললেও গোল পায়নি বন্দর নগরীর দলটি। সাইফও কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তিন গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোটিং। দু’দলের প্রথম লেগের লড়াই অমীমাংসিত থেকেছিল গোলশূন্যভাবে।
×