ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এক আসামির স্বীকারোক্তি

ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে বলায় খুন করা হয় নানি-নাতিকে

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে বলায় খুন করা হয় নানি-নাতিকে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী মধ্যপাড়া এলাকায় নানি-নাতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে এ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি আক্তার হোসেন। রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ভাড়া নেয়া বাসা ছেড়ে দিতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে নানি-নাতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আক্তার হোসেনসহ তিন ঘাতক। সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশের পরির্দশক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশের পরির্দশক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে মিজমিজি আব্দুল আলী পুল এলাকা থেকে নানি-নাতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে আক্তার হোসেন ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ওই পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, নিহত পারভিন আক্তার, তার জামাতা নবী আউয়াল ও নাতি মেহেদী হাসানকে নিয়ে পাইনাদি মধ্যপাড়া এলাকার ইতালি প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারভিন আক্তার ওই বাড়ির কেয়াটেকার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ওই বাড়ির মাঝের রুমটি ভাড়া নেন একই এলাকায় আক্তার হোসেনসহ তিন বখাটে। তারা নেশা করে। ওই রুমে বসেই ইয়াবা বিক্রি করে। প্রায়ই তারা ঝামেলা সৃষ্টি করে। পরে পারভিন আক্তার তাদের বলেন, রুমটি অন্য জায়গায় ভাড়া দিয়ে দিব। পরে পারভিন আক্তার এক বখাটের মায়ের কাছ থেকে ওই কক্ষটির চাবি নিয়ে আসে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পারভিন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ফলে গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে পারভিন আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনাটি তার নাতি মেহেদী হাসান দেখে ফেলে ও কান্নাকাটি শুরু করে। পরে তারা মেহেদী হাসানকেও গলাটিপে হত্যা করে কক্ষটি তালাবদ্ধ করে রাখে। তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত আরও দু’আসামিকে (তদন্তের স্বার্থে নাম উল্লেখ করতে অপারগতা প্রকাশ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা) গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
×