ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে ৪ বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন স্তরে

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

ভারতে ৪ বছরের মধ্যে  প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন স্তরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নোট বাতিল ও জিএসটির প্রভাবে ভারতের চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার কমছে। দেশটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে দেশটির আর্থিক বৃদ্ধির হার বা জিডিপি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে মে মাসে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গত চার বছরে প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্নস্তরে গিয়ে ঠেকেছে। গত শুক্রবার এ আর্থিক বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। জিএসটি চালুর আঁচ যে অর্থনীতির ওপরে পড়েছে তাও স্বীকার করেছে সরকার। কিছুদিন আগে ভারতের সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ তলানিতে পৌঁছানোর কথা স্বীকার করেন। সূত্র আনন্দবাজার, -জি নিউজ। প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অর্থমন্ত্রীর বাজেট নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হিসেবে দেখা হয়। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি দেশটির বাজেট উপস্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৪-১৫ সালে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। নোট বাতিল ও জিএসটির প্রভাবে প্রবৃদ্ধির এ দশা বলে উঠে এসেছে স্বয়ং কেন্দ্রের প্রতিবেদনে। তবে নোট বাতিল এবং জিএসটি নিয়ে বরাবরই কেন্দ্র এই সংস্কারের সুফল পাবে দেশ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সিদ্ধান্তের প্রভাবে আর্থিক বৃদ্ধির এই নিম্নহার কেন্দ্রের যুক্তিকে ‘মিথ্যা’ বলে প্রমাণিত করেছে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫-০৮ সালে তা ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্ববাজারে তেলের দাম এখন অনেকটাই কম। তারপরও আর্থিক বৃদ্ধিতে পেছনে পড়ে যাওয়ায় অবাক অর্থনীতিবিদরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশও বলছেন, নোট বাতিল এবং জিএসটির জন্য আর্থিক বৃদ্ধির এই দশা। তাদের বক্তব্য, জিএসটির ক্ষেত্রে খুব একটা প্রস্তুতি না নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছিল। যার ফলে স্বাভাবিক লেনদেনের গতি ধাক্কা খায়।
×