ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসনিক জটিলতা

যশোর হাসপাতালে ১৯ অত্যাধুনিক মেশিন বাক্সবন্দী

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

 যশোর হাসপাতালে ১৯ অত্যাধুনিক মেশিন বাক্সবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ তুরস্ক সরকার পরিচালিত তুর্কী ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (টিকা) পক্ষ থেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অনুদান দেয়া ৪৫ লাখ টাকার ১৯টি অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহারে অনুমোদনের বিষয়ে প্রশাসনিক জটিলতা কাটছেনা। যে কারণে মেশিনগুলো বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম বেনু জানান, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ডিজিটাল ১৯টি মেশিন স্থাপনে অনুমোদন মিলছে না। মেশিনগুলো ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে একাধিকবার লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সচিবের (হাসপাতাল) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু ব্যবহারের অনুমোদনে সাড়া মেলেনি। এদিকে অত্যাধুনিক মেশিনগুলো চালু করা হলে সরকারী এ হাসপাতাল থেকে রোগীরা অল্প টাকায় অত্যাধুনিক আল্ট্রাসনোসহ রোগ শনাক্ত করতে উন্নত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারতেন। হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নবেম্বর তুরস্ক সরকার পরিচালিত তুর্কী ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (টিকা) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৯ প্রকারের ওই অত্যাধুনিক মেশিন অনুদান হিসেবে দেয়। মেশিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১টি থ্রিডি কালার আল্ট্রাসনো মেশিন, ২টি ইসিজি মেশিন, ১টি ইনকিউবেটর মেশিন, ১টি ডেন্টাল মেশিন, ১টি এ্যানালাইজার মেশিন, ১টি রোগী অজ্ঞান করা মেশিন ও ১টি হাইড্রোলিক অপারেশন টেবিল। মেশিনগুলো অনুদান আসার পর এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মান আরও এক ধাপ বেড়ে যাওয়ার আশা করেছিল সচেতন মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনুদানের মেশিনগুলো এখনও হাসপাতালে স্থাপন করা হয়নি। সেগুলো বাক্সবন্দী অবস্থায় বহির্বিভাগের এক কোণে রাখা হয়েছে। অত্যাধুনিক মেশিনগুলো দ্রুত চালু করা না হলে অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম বেনু জানান, মেশিনগুলো অনুদান পাওয়ার পর তা চালু করতে প্রশাসনিক জটিলতায় ভুগছেন। গত নবেম্বরে মেশিন ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়ে পত্রটির ফাইল পাঠিয়ে দেয় কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের অফিসে। সেখান থেকে ওই মেশিন ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে আবেদনপত্রটি ফেরত পাঠানো হয়। বলা হয়, বিদেশী সংস্থার কোন অনুদান নিতে হলে পরিকল্পনা অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম বেনু আরও বলেন, অফিসিয়াল প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে উন্নতমানের যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করতে না পারলে তা বস্তাবন্দী অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাবে। এতে রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। মেশিনগুলো ব্যবহারের অনুমতি নেয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মেশিনগুলো ব্যবহারের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় ব্যবহারে অনুমোদন মিলছেনা।
×