ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের কাছে হার মাশরাফির

তামিমের শতকে বিসিবি লাল দলের জয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

তামিমের শতকে বিসিবি লাল দলের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মূল লড়াইয়ে নামার আগে একটিই মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ। সেই ম্যাচে ঘোষিত প্রাথমিক দলের ২৪ ক্রিকেটারকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বিসিবি লাল এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে বিসিবি সবুজ দল। দিবারাত্রির সেই ম্যাচে শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ওপেনার তামিম ইকবাল দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। যার ফলে সাকিবের লাল দলের কাছে ১৩৭ রানে হেরেছে মাশরাফির সবুজ দল। ৬ উইকেটে ৩২০ রান তুলেছিল লাল দল। জবাবে ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় সবুজ দলের ইনিংস। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লাল দলকে সতর্ক সূচনা এনে দেন তামিম ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ২১ রান করেই বিদায় নেন বিজয়। ওয়ানডাউনে নেমে সাকিবও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি, ২৪ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন। ততোক্ষণে অবশ্য ১ উইকেটে ১০৮ রান জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। মুহূর্তেই সেটি ৩ উইকেটে ১০৮ রান হয়ে যায় সাকিবের পর মুশফিকুর রহীম ক্রিজে এসেই ০ রানে সাজঘরে ফিরলে। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১২৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে ভাল একটি অবস্থানে নিয়ে যান। মাহমুদুল্লাহ মাত্র ৭৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। আর এতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় লাল দল। তবে সেই ভিতে দাঁড়িয়ে সাব্বির রহমান খুব একটা বড় করতে পারেননি তার ইনিংসটাকে, ফিরে গেছেন ২০ রান করেই। তামিম ১১৯ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করার পর স্বেচ্ছাবসরে যান। দলের সুবিধাজনক অবস্থান কাজে লাগিয়ে আবুল হাসান রাজু বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন এরপর। তিনি মাত্র ১৯ বলে ৩৫ (৫ চার, ১ ছক্কা) রান করলে তিন শ’ পেরিয়ে যায় লাল দলের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় সাকিবের লাল দল। ২টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও সাইফউদ্দিন আহমেদ। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকারের ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভাল শুরু পেয়েছিল সবুজ দল। কিন্তু এরপর হামলে পড়েন দুই পেসার আবু হায়দার রনি ও রুবেল হোসেন। দু’জনের গতির তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে সবুজ দলের ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য ১৮ এবং মিঠুন ৪৩ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ওয়ানডাউনে নেমে লিটন কুমার দাসও ফিরে যান মাত্র ৭ রানে। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে মাশরাফির দল। তবে এরপর লাল দলের হয়ে ব্যাট করা মুশফিক ব্যর্থ হওয়ায় তিনি আবার সবুজ দলের হয়েও ব্যাটিংয়ে নামেন। এবার তিনি সফল হয়েছেন। ৬ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ৫৮ বলে ২ চারে। আর নাসির হোসেন করেন ২৫ রান। এরপর আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভার ৪ বল হাতে রেখেই ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় লাল দল। ৩টি করে উইকেট নেন রুবেল ও রনি। স্কোর॥ বিসিবি লাল দল ইনিংস- ৩২০/৬; ৫০ ওভার (তামিম ১০৪*, মাহমুদুল্লাহ ৮৭, আবুল ৩৫, সাকিব ২৪, বিজয় ২১, সাব্বির ২০; তাসকিন ২/৪৩, সাইফউদ্দিন ২/৪৪, মুস্তাফিজ ২/৪৭)। বিসিবি সবুজ দল ॥ ১৮৩/১০; ৪৩.২ ওভার (মুশফিক ৪৪*, মিঠুন ৩২, নাসির ২৫, সৌম্য ১৮; রুবেল ৩/২১, রনি ৩/৫১)। ফল ॥ বিসিবি লাল দল ১৩৭ রানে জয়ী।
×