ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এমসিসির সভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন সাকিব

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

এমসিসির সভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিশ্ব ক্রিকেট কমিটির সদস্য হয়েছেন সাকিব আল হাসান। মঙ্গল ও বুধবার এমসিসি সভা হবে। লর্ডসে এ সভা হবে। এ সভায় প্রথমবারের মতো যোগ দিতে আজ সাকিব দেশ ছাড়বেন। সাকিবই এ কমিটির একমাত্র পুরুষ ক্রিকেটার যিনি এখনও সব ফরমেট খেলে চলেছেন। এর বাইরে যে ১৩ সদস্য আছেন সবাই অবসরপ্রাপ্ত। এ কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস। তিনি এখনও খেলছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন অনুশীলনে ব্যস্ত। সামনে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট ও দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ রয়েছে। এ সিরিজে অংশ নিতে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করে চলেছেন। সাকিবও সেই অনুশীলনে ছিলেন। তবে আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিবকে অনুশীলনে দেখা যাবে না। তিনি এমসিসির সভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। এই কমিটিতে ইংল্যান্ডের মাইক গ্যাটিং (চেয়ারম্যান), পাকিস্তানের রমিজ রাজা, ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলী, ইংল্যান্ডের কার্লোট এডওয়ার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার ভিনসেন্ট ভেন ডার ভিজেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জিমি এডামস, অস্ট্রেলিয়ার রড মার্শ, টিম মে, নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইয়ান বিশপ, শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা ও নিউজিল্যান্ডের বেটস রয়েছেন। আর সাকিব তো আছেনই। গত বছর অক্টোবরে সাকিব এমসিসিতে যোগ হওয়ার সম্মান পান। সাকিবের সঙ্গে বিশপ, ধর্মসেনা ও বেটসও কমিটিতে যোগ হন। সাকিব সম্পর্কে কমিটির চেয়ারম্যান গ্যাটিং বলেছিলেন, ‘কমিটিতে আসা প্রথম বাংলাদেশী সাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটের সব সংস্করণেই তার ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের প্রত্যাশা, কমিটিতে এসে অন্য নতুনদের সঙ্গে তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’ টেস্ট খেলুড়ে ১০ দেশের মধ্যে আট দেশেরই প্রতিনিধিত্ব আছে কমিটিতে। এমসিসির ক্রিকেট কমিটির কাজ কোন একটি দেশ বা দলকে নিয়ে নয়। বিশ্ব ক্রিকেটেরই ক্রিকেটীয় বিষয়ে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে এই কমিটি। দুইদিনব্যাপী সভার আলোচ্যসূচী বেশ লম্বা। এবারের সভায় টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বড় একটা আলোচনা হবে। পাঁচদিনের টেস্ট, চারদিনের টেস্ট, দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে আলোচনা হবে। এ সভা নিয়ে সাকিব খুবই রোমাঞ্চিত। আগেই জানিয়েছেন, ‘রোমাঞ্চিত অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেক বড় সম্মাননা। পাশাপাশি দায়িত্বও। এর আগে যখন এই মিটিং হয়েছে তখন বাংলাদেশের কেউ ছিল না। আমরা কি সুবিধা পাই কিংবা কি অসুবিধা মোকাবেলা করি এসব নিয়ে ওদের ধারণা কম থাকতো। যেগুলো আমি হয়তো শেয়ার করতে পারব।’ সাকিব আরও জানান, ‘এখনও নেইনি তবে প্রস্তুতি থাকবে। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হবে। ওই এজেন্ডাগুলো আমি জানি, এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এখন যেটা হবে এইগুলো নিয়ে একটু পড়াশুনার বিষয় আছে। একটু বোঝার ব্যাপার আছে। এইগুলো নিয়ে যেহেতু আলোচনা হবে তাই অপ্রস্তুত অবস্থায় তো যাওয়া ঠিক হবে না। ওইখানে দুইদিন যে মিটিং হবে দুইদিনের এজেন্ডা সব দেয়া আছে। বাইরে যদি আলোচনার সুযোগ আসে তবে সেটা করা যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যেটা করা আছে ওইখানে স্পেসিফিকভাবে বলা আছে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং ওইগুলো নিয়েই আলোচনা হবে। টেস্ট ক্রিকেট নিয়েই অনেক কিছু আছে। এইগুলোই ওইখানে আলোচনা করবে এবং চিন্তা করবে কোনটা করলে আসলে ভাল হয়, না হয়। এখানে প্রস্তাব করার কিছু নেই আসলে। এখানে এজেন্ডা ঠিক করা আছে, ওইগুলোই আলোচনা করা হবে আসলে। যার মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটও থাকবে।’ নতুন বছরের শুরুটাই সাকিব করছেন সবচেয়ে বড় সম্মান পাওয়া স্থানে গিয়ে সভা করে। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমসিসির সভায় যোগ দেবেন সাকিব।
×