ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে দুর্নীতি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

কুড়িগ্রামে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে দুর্নীতি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ সূর্যের হাসি ক্লিনিকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি ফাঁস করায় চাকরি হারাতে হয়েছে ৭ নিরীহ কর্মচারীকে। কর্মকর্তাদের দুর্নীতি’র বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এসব কর্মচারীকে বিভিন্ন সময়ে রংপুরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মচারীদের আগাম কোন নোটিশ বা সতর্কপত্র না দিয়েই পথের কাঁটা দূর করতে কৌশলে চাকরিচ্যুতি করা হয়। সরকারী চাকরি বিধি লংঘন করা হলেও উধর্তন কর্মকর্তারা এই নিরীহ কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াননি। শনিবার দুপুরে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী কয়েকজন। অভিযোগে জানা যায়, ইউএসএইড এর অর্থায়নে উন্নত পরিবার গঠনে রংপুরের মুলাটোলে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের হেড অফিস স্থাপন করা হয়। কুড়িগ্রামসহ ৬টি ব্রাঞ্চে ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে। এই অফিসের পিডি গোলাম ফারুক, ফাইন্যান্স ম্যানেজার খান মোঃ কুদরত-ই-খুদা এবং কুড়িগ্রাম অফিসের ম্যানেজার আলমগীর সরকার যোগসাজস করে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়। ভুক্তভোগী প্যারামেডিকস রাশিদা আক্তার, কাউন্সিলর ফরিদা বেগম, সার্ভিস প্রমোটর রওশন আরা রিনা ও আছমিনা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুর্যের হাসি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি, সিজারিয়ান, ভর্তি ফি, মেডিসিন, রেজিস্ট্রেশন ও সার্জিক্যাল ফি’র টাকা মানি রিসিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হলেও তা রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ব্যাংকে যে রেজিস্টারের মাধ্যমে টাকা জমা করা হয়, সেখানে শুভংকরের ফাঁকির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম ও রংপুরের কর্মকর্তারা যোগসাজস করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের ম্যানেজার আলমগীর সরকার জানান, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। অভিযোগকারী রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মীরা দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে প্রশাসনিকভাবে ডিসকন্টিনিউ করা হয়। রংপুর অফিসের ফাইন্যান্স ম্যানেজার খান মোঃ কুদরত-ই-খুদা এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগকারীরা সকলেই বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত। ৬ জনের চাকরি ২/৩ বছর আগে গেলেও এখন তারা এসব কথা কেন বলছে আমার জানা নেই। সূর্যের হাসি ক্লিনিকের পিডি গোলাম ফারুক অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে তারা সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
×