ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভাল মুনাফা করলে লভ্যাংশ বাড়বে

আগামীতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে পাওয়ার গ্রিড

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

আগামীতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে পাওয়ার গ্রিড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামীতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। এ সম্প্রসারণের লক্ষে কোম্পানি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মুনাফার একটি অংশ রিটার্ন আর্নিং করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিজিসিবি’র পরিচালক আহমেদ কাইকাউস। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আব্দুল গনি রোড বিদ্যুত ভবনের মুক্তি হলে কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালক একথা বলেন। আহমেদ কাইকাউসের সভাপতিত্বে এজিএমের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুম আল বেরুনি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। আহমেদ কাইকাউস বলেন, লভ্যাংশ প্রদান একটি ফান্ডামেন্টাল পলিসি। কোম্পানি ভাল মুনাফা করলে বেশি লভ্যাংশ দিবে। আর কম মুনাফা করলে সেই অনুপাতে লভ্যাংশ দিবে, এটাই সাধারণ নিয়ম। সেই নিয়মেই পাওয়ার গ্রিড লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে। চলতি অর্থবছরে পাওয়ার গ্রিড ব্যবসা আরো সম্প্রসারণ করা হবে এমন পরিকল্পনা রয়েছে। এ সম্প্রসারণ করতে অর্থের প্রয়োজন। ওই সম্প্রসারণ ব্যয়ের অর্থ যোগাতে পাওয়ার গ্রিড এবারের মুনাফার একটি অংশ রিটার্ন আনিং করে রেখেছে। যাতে সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করতে পারে কোম্পানি। তাই সম্পূর্ন মুনাফা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্টন করেনি পাওয়ার গ্রিড। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশর যেকোন খাতের চেয়ে বিদ্যুৎ সেক্টর রয়েছে সবচেয়ে এগিয়ে। এজন্য আমরা গর্বিত। পাওয়ার গ্রিড গত অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মুনাফা বেশ ভাল করেছে। গত বছরের তুলনায় আলোচ্য অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা বেশি হয়েছে । আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১.৬৭ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানির সম্পদ মূল্যেও। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানি ভবিয্যৎ ভাল। সামনে আরো বেশি মুনাফা হবে বলে জানান। এ লক্ষে কোম্পানির কর্মকর্তারা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৮টি সঞ্চালন লাইন নির্মানের জন্য ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে পিজিসিবি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। আবার সাবস্টেশন নির্মান কাজের জন্য ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৪টি চুক্তিও হয়েছে। এছাড়াও পাওয়ার গ্রিড বিদ্যুৎ উন্নয়ন লক্ষ্যে ২১টি প্রকল্প করার পরিকল্পনা করছে। পাওয়ার গ্রীডের এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরে জন্য পূর্ব ঘোষিত ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়েছে। এজিএমে আরও ৩টি আলোচ্যসূচী অনুমোদিত হয়েছে। পিজিসিবি’র এজিএমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ, ড. জালালউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, ড. এ বি এম হারুন উল রশিদ, মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, এ কে এম এ হামিদ, এসকে মোঃ আব্দুল আহাদ, সচিব আশরাফ হোসেন প্রমুখ। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোম্পানি ৫ হাজার ৮৪ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুত সঞ্চালন করে বিতরণকারী সংস্থাগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়। যা পূর্ববর্তী অর্থবছর হতে ৯.৫৫ শতাংশ বেশি। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এ কোম্পানি। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৭৬.২৫ শতাংশ শেয়ার ধারন করছেন সরকার। বাকী শেয়ার ধারন করছেন প্রাতিষ্ঠানিক ১৮.৬৬ শতাংশ, বিদেশি .২০ শতাংশ ও সাধারন বিনিয়োগকারী ৪.৮৯ শতাংশ।
×