ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অস্তিত্ব সঙ্কটে বাগেরহাটের নদী–খাল

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

অস্তিত্ব সঙ্কটে বাগেরহাটের নদী–খাল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ এক সময়ের খরস্রোতা চিত্রা, বলেশ্বর, মধুমতি, দাউদখালী, ছবেকী নদী এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। শতাধিক শাখাখাল মরতে বসেছে। নাব্যতা নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর দখলবাজ রাতারাতি দখল করে নিচ্ছে খাল ও নদীতে জেগে ওঠা চরের জমি। ফলে চাষাবাদ ও নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। চর দখলে সংঘাত বাড়ছে। পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কৃষক ও পরিবেশ বান্ধব সচেতন মানুষেরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা দ্রুত এগুলোর নাব্যতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। চিতলমারী, মোল্লাহাট ও কচুয়া উপজেলায় সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলের নদী ও খাল খনন না করায় অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। আর ভরাট চর দখল করে প্রভাবশালীরা অট্টালিকা পর্যন্ত নির্মাণ করছে। চিতলমারী সদর বাজারের হক ক্যানেলসহ বেশকিছু স্থানে খালের ওপর কয়েক প্রভাবশালী যে যার মতো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করছে। খালটিতে এখন হাঁটু পানিও নেই। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সদর বাজারসহ আশপাশ এলাকায় বসবাসকারীদের। উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুরসহ ৭টি ইউনিয়নে প্রধান ৩টি নদী ও অর্ধশতাধিক খাল রয়েছে। যার অধিকাংশ এখন নাব্যতা সঙ্কটে। হক ক্যানেল, পাটনিবাড়ি, পেত্নীমারী, নারাণখালী, বাঁশতলী, খাগড়াবুনিয়া, শরৎখালীর মতো বড় খালগুলোও মরতে বসেছে। এ উপজেলার কুরালতলা, শিবপুর, কালশিরা, বারাশিয়া, আড়য়াবর্ণীসহ প্রায় ৮থেকে ১০গ্রামের কয়েক হাজার চাষী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বোরো মৌসুমে তারা সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন। নানা দফতরে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল হয়নি। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই এমন অভিমত প্রকাশ করলেন সাধারণ লোকজন। চিতলমারীর মতো এ চিত্র প্রায় গোটা জেলার। শেরেবাংলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। শীঘ্রই খাল খনন ও দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হবে।
×