ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনা ॥ নববর্ষের সর্বোত্তম উপহার

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

শেখ হাসিনা ॥ নববর্ষের সর্বোত্তম উপহার

যে মহীয়সী নারী বঙ্গোপসাগর এবং নাফ নদীতে নৌকায়, ভেলায় ভাসমান এবং ডুবন্তপ্রায় রোহিঙ্গাদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেন, ‘They are also human being’, যে রাষ্ট্রনেতা দুস্থ মানবতার দিকে হাত বাড়িয়ে উচ্চারণ করতে পারেন ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষ যখন খেয়ে-পরে বেঁচে আছি তখন ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকেও খাওয়াতে পারব। প্রয়োজনে খাবার ভাগ করে খাব, তবু মানবতার অবমাননা হতে দেব না।’ এই নারী দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাঙালী জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। ধার্মিক কিন্তু ধর্মাচারে উদার অসাম্প্রদায়িক; যাপিত জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব; নারী শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ লাকসামের পশ্চিমগাঁর নবাব ফয়জুন্নেসা; অবরোধবাসিনী থেকে নারীদের আলোকিত সমাজের দিশারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন; আর্তমানবতার সেবক মাদার তেরেসাদের উত্তরসূরি; পোশাক-আশাক, চাল-চলনে শালীনতায়-ভব্যতায় আপাদমস্তক বাঙালী নারী; অর্থ-সম্পদ প্রশ্নে নির্লোভ নিরহঙ্কারী; সততায় সাহসে রাষ্ট্রনেতৃত্বে অপ্রতিদ্বন্দ্বী- এমনি গুণাবলীর অধিকারী শেখ হাসিনা। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকরাও তাঁকে রাষ্ট্রের কর্ণধার হিসেবে পেয়ে গর্বিত এবং শঙ্কামুক্ত। তাঁর প্রতি ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে সুস্থ জীবন দিন, দীর্ঘায়ু করুন, আমাদের জাতীয় জীবনে তাঁর নেতৃত্ব একান্তভাবেই প্রয়োজন। বিভিন্ন সময় কিছু দিন, মাস, বছর আমাদের নষ্ট হয়েছে। গত এক দশকে তাঁর নেতৃত্বে ওই পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই উন্নয়ন অগ্রগতির মহাসড়ক ধরে। শেখ হাসিনা বিধাতার আশীর্বাদ। শেখ হাসিনা ইংরেজী নববর্ষের সর্বোত্তম উপহার। যে মানুষ ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক দানবচক্র তোয়াক্কা না করে জীবনের বিরাট অংশ (১৩ বছর) কারাভ্যন্তরে কাটিয়ে বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্নসাধ আপন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন; একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন পুনর্বাসন কাজ শেষ করে যখন সোনার বাংলা গড়ার পথে পা রাখলেন তখনই তাঁকে হত্যা করা হলো, ৩০ লাখ শহীদ ও ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের আত্মত্যাগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার ট্যাঙ্ক-কামান নামানো হলো পথে, তখনই বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার পদার্পণ আশীর্বাদ বৈ কিছু নয়, যা আজ বিশ্বব্যাপী ঈর্ষার ব্যাপার। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়া-এরশাদের চেহারায়-অবয়বে যখন মিলিটারি স্বৈরশাসক আইয়ুব-ইয়াহিয়া আবার মাথার ওপর চেপে বসার চেষ্টা করল তখন শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আগমন আশীর্বাদই বটে। পিতার মতোই (১৬ বছর) সংগ্রাম-আন্দোলন করে মিলিটারি তাড়ালেন ঠিকই; কিন্তু আইয়ুব-ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মা ভিন্নরূপে চেহারায় আবারও ক্ষমতায় বসে গেলেন। এই প্রেতাত্মার নাম খালেদা-মিলিটারি জিয়াপত্নী। তাকে তাড়াতেও বেশ সময় চলে গেল। কিন্তু যার ধমনীতে জাতির পিতার রক্ত তাঁকে রুখবার ক্ষমতা কার? ছাত্র রাজনীতি ও বাঙালীর শ্রেষ্ঠ পরিবারের পরিবেশ এবং অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপট নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে টানা ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম ও জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলা করে প্রথমবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ এবং তৃতীয়বার ২০১৪ থেকে অদ্যাবধি তিনবারে মোট ১৪ বছর রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্যারিশমা দেখিয়ে আজ বিশ্বের ১০ জন সফল রাষ্ট্রনায়কের অন্যতম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর এই অর্জন গোটা বাঙালী জাতিকে সম্মানিত করেছে, গৌরবান্বিত করেছে। আজ আমাদের সন্তানরাও আলোকিত পথের প্রদর্শক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা অনুকরণীয়-অনুসরণীয় চরিত্র খুঁজে পেয়েছে যার পথ ধরে তারাও একদিন একজন শেখ হাসিনা বা একজন জয়ের মতো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। সারাটি জীবন স্রোতের বিপরীতে হেঁটে হেঁটে তিনি আমাদের সন্তানদের সামনে যে উদাহরণ তুলে ধরলেন তার তুলনা নেই। আজ তিনি- * জননেত্রী শেখ হাসিনা। * দেশরত্ন শেখ হাসিনা। * বিশ্বের সফল ১০ জন রাষ্ট্রনেতার একজন। * মাদার অব হিউম্যানিটি। * স্টার অব দ্য ইস্ট। * সৎ রাষ্ট্রনেতা। * মেধায় সততায় নেতৃত্বে বিশ্বসেরা। * ঢাকা বিশ্বভারতী, বোস্টন, ম্যানচেস্টার, ওয়াসেদাসহ এক ডজনেরও অধিক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রীতে ভূষিত। * নোবেল শান্তি পুরস্কারও আজ তাঁর ব্যক্তিত্বের কাছে অবনত। * রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নেতৃত্বও তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এমনি এমনি তাঁর অর্জনের ক্যানভাসে এসব অভিধা এসে জড়ো হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি যে সব নীতি ও লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে গেছেন তার সবগুলোতেই মানুষ বড়। মানুষই তার চলার পথের সাথী, যে কারণে তিনি অতি অল্পদিনেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যর্থতার ওপর সাফল্যের সোপান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত নেত্রী খালেদা জিয়ার কয়েকটি ব্যর্থতার চিত্র- খালেদা জিয়া ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬; ১৯৯৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ এই তিনবারের একবারও স্বাভাবিক নিয়মতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেননি। সববারই অস্বাভাবিক পথে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। কারণ ক্ষমতায় গিয়ে বা প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি দামী শাড়ি আর সুন্দর মেকআপ ছাড়া কিছুই জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেননি। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি নিম্ন আয়ের দেশ (বর্তমানে সে ব্যর্থতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ)-এর প্রধান সঙ্কট খাদ্য ঘাটতি ও অভাব। খালেদা জিয়া সববারই ৩০ থেকে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি রেখে ক্ষমতা থেকে যান। তার বিপরীতে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার রেখে যাওয়া ঘাটতি কাটিয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে উন্নীত করেন, খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করে দীর্ঘদিনের মঙ্গা-দুর্ভিক্ষকে বিদায় দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ‘মঙ্গা’ ও ‘দুর্ভিক্ষ’ এখন ডিকশোনারিতে ঢুকে গেছে, জীবনে নেই। দেশে এখন ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়, জাতীয় বাজেট (চলতি) ৪ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা হতে পারে। গত বছর বেশ কয়েকটি দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে। প্রথমে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক মানুষের জীবনহানি; সিলেট সীমান্তে পাথর কুড়ানি বেশ সংখ্যক নারী-পুরুষের প্রাণহানি; অবিরাম অস্বাভাবিক বর্ষণে হাওরাঞ্চলে বন্যা ও বন্যায় ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য নষ্ট এবং সর্বশেষ ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ- এসব ভয়াবহতা কাটিয়ে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনেতৃত্ব এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়, রোল মডেল। এই মুহূর্তে আমাদের জিডিপি ৭+; বৈদেশিক মুদ্রা রিজাভ ৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার, মাথাপিছু আয় ১৬০০ ইউএস ডলার, শিক্ষার হার ৭০%, গড় আয়ু ৭১ বছর। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড় করিয়ে প্রমাণ করলেন কতখানি সাহসী এবং দেশপ্রেমিক। মিলিটারি জিয়া যে জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করেন এবং এরশাদ-খালেদার আমলে যা পরিপূর্ণ বিষবৃক্ষে রূপ নেয়, শেখ হাসিনা তাও উপড়ে ফেলে দেন। এভাবে প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে পেছনে ফেলে প্লেনের মতো টেকআপ করেছে। এই প্রেক্ষাপট নিয়ে ২০২০-এ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বা অর্ধশত বার্ষিকী উদ্যাপন করবে। যে শিশু একাত্তরে জন্মগ্রহণ করেছে তার বয়স হবে তখন ৫০ বছর। শেখ হাসিনা এমন এক দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনেতা যার ধ্যান-জ্ঞান রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থ। তাঁর প্রতিপক্ষ যতখানি শক্তিশালী তিনি তারচেয়েও বেশি শক্তিশালী, সাহসী এবং ত্যাগী। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এসেছিলেন গ্যাস রফতানির পরামর্শ দিতে। প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। জবাবে শেখ হাসিনা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিল ক্লিনটনকে পাশে রেখে বলেছিলেন- ‘তোমার দেশে ৭০ লাখ বছরের গ্যাস মজুদ আছে বলে রফতানির কথা বলতে পার। আমরা অন্তত ৫০ বছরের মজুদ আগে নিশ্চিত করব, তারপর চিন্তা করব রফতানি করব কি করব না। তাছাড়া এখনও জানি না আমাদের মাটির নিচে কত গ্যাস আছে। উদ্বৃত্ত হলেও আমরা প্রাইয়োরিটি দেব গ্যাসভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠায়, তাতে একদিকে যেমন আমাদের তরুণ-তরুণীরা চাকরি পাবে, ছোট ছোট কলকারখানা গড়ে উঠবে অন্যদিকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। এমনকি আমেরিকার সাবেক এক প্রেসিডেন্টও নির্বাচনের অল্প দিন আগে এসেছিলেন এই প্রস্তাব নিয়ে। সেদিন শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্ভাবনাকে তুচ্ছজ্ঞান করে ফেরত দিয়েছিলেন। সামনে এলো পদ্মা সেতু। এই সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণ বাংলার কয়েক কোটি মানুষের জীবনই পাল্টে যাবে, যাতায়াত সহজ এবং দ্রুততর হবে, পরিবহন সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি মধ্যম আয়ের সীমারেখা অতিক্রম করে উন্নত অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা যিনি ছোটবেলা থেকে গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে সম্যক পরিচিত বলেই পদ্মা সেতুর ওই সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করেন এবং কালক্ষেপণ না করে সেতু নির্মাণে হাত দেন। অথচ কাজ শুরু না হতে (অর্থাৎ কেবল পেপার ওয়ার্ক চলাকালে) বিশ্বব্যাংক বলল ‘দুর্নীতি হয়েছে এবং দেশের তথাকথিত কতিপয় বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম মনে করল এবার শেখ হাসিনাকে পাওয়া গেছে। খালেদা-তারেকের মতো তাকেও দুর্নীতির কাতারে দাঁড় করানো যাবে। ব্যস, অত্যন্ত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি এবং যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে পদত্যাগ করতে হলো। অন্যায়ভাবে অপমান করা হলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। বিশ্বব্যাংক বলল, তারা অর্থায়ন করবে না। শেখ হাসিনা বললেন, সো হোয়াট, আমরা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। যথারীতি সেতুর কাজ শুরু হলো এবং এর মধ্যে একটি স্প্যান উঠেছে, আরও উঠতে যাচ্ছে, ৫০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে, দ্রুত কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংক হটকারী সিদ্ধান্ত না নিলে সময়মতো ১৮ সালের মধ্যেই সেতু চালু করা সম্ভব হতো। এখন একটু সময় নিলেও বেশি দেরি হবে না। তবে ইন্টাররেস্টিং ব্যাপার হলো বিএনপি-জামায়াত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক’দিন আগে (পত্রিকায় দেখলাম) বলেছেন- জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, এতে ঝুঁকি আছে। জামায়াত তো আছেই, কিছু জামায়াত-বিএনপিও আছেন যারা খালেদা জিয়াকে এমনি আত্মঘাতী পরামর্শ দেন। আসলে ভদ্রমহিলার মেধার স্তরের কারণেই তাকে অন্যের এমন ভুল পরামর্শ শুনতে হয়। তাছাড়া ভদ্রমহিলার নিজের দুর্নীতির মামলা, ছেলের দুর্নীতির মামলা টেনশন তো রয়েছেই। একদিকে শেখ হাসিনা সৎ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বের ৫ জনের মধ্যে তৃতীয়, অন্যদিকে খালেদা জিয়া ঘাড়ে ঝুলছে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলা, তদুপরি খালেদাও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী; কিন্তু অর্জনের ঘর বিগ শূন্য, টেনশনের ওপর টেনশন টেনশন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন সৎ হলে, মেধা এবং সাহস থাকলে (সৎ মানুষই কেবল সাহসী হতে পারে) অনেক কিছু করা যায়। শেখ হাসিনা তারই প্রমাণ করলেন। তাঁর ওপর ভরসা করা যায়। যত বৈরিই হোক শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব নিয়ে কারোই বলার কিছু নেই। বরং সন্তানদের অনুকরণীয় চরিত্র হিসেবে শেখ হাসিনাকে তুলে ধরতে হবে। তিনি যেমন স্বপ্ন দেখতে জানেন তেমনি স্বপ্ন দেখাতে জানেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেও জানেন। স্বপ্নের বাস্তবায়নের গৌরব নিয়েই তিনি ১৮ সালে চতুর্থবারের মতো গণম্যান্ডেট নিতে যাচ্ছেন এবং আমার বিশ্বাস তিনি তা সহজেই অর্জন করতে সক্ষম হবেন। ঢাকা ॥ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×