ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

কবিতা

**স্বপ্ন-২০১৮ রহমান মুজিব মাটিপত্রে পড়ে আছে ধূলির মিনিক্যাট স্মারক পথে চলে গেছে অবিচল আর অবদমন আর রেখে গেছে বুকে নক্ষত্রপোড়া কফিনের প্রস্থান। ইতিহাস জানে, দূর এলাচের গন্ধ্যে এখন ধ্যানমগ্ন নিমজীবন শুধু মুদ্রার ছায়াপথ পকেটবন্দি করে রাত্রির শিবির শুধু একাকি নিঃশ্বাস ছায়া-কংকাল হতে তুলে নেয় শোকের শিকার তবু নার্সিংহাতের সুশীল রেখায় পৃথিবীর মানচিত্র একদিন সুশীল আর্কেষ্ট্রার আশ্রয় হয়ে পাখিপ্রাণে বাজাবে ধ্রুপদী সুর ডিলেট হবে মনের কদর্য কার্বন, মানুষের যৌথ স্বপ্নের আবাদ ফুটে উঠবে নক্ষত্র কাদায়। ** পুনর্পাঠ রাখাইন টু কুতুপালং সায়মন স্বপন পড়ন্ত জীবনের কাছে মানুষ কোন একদিন শরণার্থী হয়ে পড়েÑ চ্যাপ্টাপেটের আর্তনাদে। তেল-চিটচিটে ঘুম ভেঙে হয়ত-বা স্বপ্নের কথা কেউ কেউ মনে রাখতে পারে। অথচ, ঘুমচোখে স্বপ্ন দেখার কোন পৈতৃক অধিকার ছিল না। কেবল, পাথরের মার্বেল গুনে গুনে জল জমেছে জলপুকুরে। রাত পোহাবার আগেই বসতির খুঁটি ছেড়ে ছুটতে হলো সামরিক-ছাড়পত্রে। সিঁথানে রেখে আসা দুমুঠো স্বপ্ন হারিয়ে কেউ কেউ অপেক্ষায় ছিল নাফ নদীর কিনারায়। কারও জানা ছিল না, জ্বলন্ত উনুন ফেলে ছুটতে হবে অজানা গন্তব্যে। কারও জানা ছিল না, আদরের বৌ কিংবা কিশোরীকে ছিঁড়ে খাবে চোখের সামনেই। সোহাগী স্বামীর মরদেহ নিয়ে কাঁদতে হবে অকালেÑ কারও ছিল না জানা। ভেসে যাওয়া স্বজনের স্মৃতি নিয়ে গোপন ব্যথায় কাতর কতশত স্বজন, তার পরিসংখ্যান নেই কোন দফতরে। কেবল, কান্নামাখা মুখগুলোর ছবি ঝুলে আছে নাগরিক-জাদুঘরে। ** শ্যামলা আয়ুর পাশে মোস্তফা হামেদী পথসুরে গেঁথে ফেলছি কান কারা হারিয়েছে প্রিয় নাম ঝিমধরা দুপুরের দিকে, কাতলা ভেসে থাকার দিনে, য়খন পেকে উঠছিল রোদ, পুরনো সেই বেল বাজাতে বাজাতে ঢুকে পড়ে নির্জন খোপে কথা ছিল আশ্বিনের বাঁকে, বনকচুর ঝোঁপ পেরিয়ে, কাগজি লেবুর পাতায় নাক ঘষে ঘষে দাঁড়িয়ে পড়ব উদ্বেল উদ্যানের পটে, জারুল গাছের শ্যামলা আয়ুর পাশে বর্ণাঢ্য ওড়াওড়ি নিয়ে সে ঘুড়ি নীরব ফড়িং, মসুরের ক্ষুদ্র পাতায় ভর রেখে, হাওয়ার গতি বেগে চোখ ঠেরে, ঝেঁকে বসলো, শস্যদানার দরদী মজলিসে নথের ক্ষীণতা নিয়ে বেজে গেল শেষ সাইরেন ** ঘোরলাগা ভোরে ফখরুল হাসান নিদ্রাতুর রাত্রির পায়ে শিকশ! ঘোরলাগা ভোরে তোমার পদচিহ্ন ভিন্ন এক আমি মায়াবী অভিমানে ক্ষীণকায়; মহাশ্মশানে বিনীত আকুতি তোমার ছোঁয়ায় হৃৎপিণ্ড জ্বলে ওঠে, জেগে উঠি ভোরে। মেঘেরা খেলা করে মাতাল নেশায় তোমারই খেলায় পাষাণ মন বিভোর তন্দ্রার ঘোরে মন পুড়ে যায়। অথচ তুমি এলে ঘোরলাগা ভোরে নিদ্রাহীন হলো আমার রাত্রিযাপন। দূরে তুমি, বহু দূরে, সেই তুমি এলে ঘোরলাগা ভোরে অভিমানের সুরে আলোকবর্ষ দূরে মেঘের আঁচল ফেলে তুমি এলে যেন এক মায়াবী মেঘ বালিকা।
×