ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাস্তবের মোগলি!

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

বাস্তবের মোগলি!

বাঁদরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভারতের ব্যাঙ্গালুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম আলাপুর। সেখানকার ছোট্টশিশু সমর্থ আজকাল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কারণ মূলত সমর্থের বাঁদর বন্ধুরা। এরা সবাই প্রতিদিন ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে আসে। যদি সে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে ঘুম ভাঙিয়ে তার সঙ্গে খেলা শুরু করে এই প্রাণীরা। গভীর বন্ধুত্ব সমর্থের বয়স মাত্র দু’বছর এবং সে এখনও ঠিকমতো কথা বলা শেখেনি। কিন্তু বাঁদরদের সঙ্গে বন্ধুত্বে ক্ষেত্রে সেটা কোনো সমস্যাই নয়। অনেকেই বাঁদরদের সাথে তাকে দেখে কিছুটা আতঙ্কিত হতেন কিন্তু এই শিশুর চেহারায় কখনো কোন আতঙ্ক বা ভয়ের ছাপ ছিল না। সহজ সম্পর্ক শিশুটির চাচা বরামা রেড্ডি বলেন, ‘‘প্রথম প্রথম গ্রামবাসীর মতো আমাদেরও ভয় লাগতো। আমাদের চিন্তা হতো, যদি সমর্থের বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে বাঁদররা শিশুটির কোনো ক্ষতি করে! কিন্তু অল্পদিনেই আমরা বুঝলাম বাঁদরদের সঙ্গে সমর্থের সম্পর্ক খুব সহজ-সরল। মানুষের আগ্রহ শিশুটির সঙ্গে বাঁদরদের এই বন্ধুত্ব আশপাশের মানুষদের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে বাঁদর দলের সঙ্গে সমর্থ মেলামেশা করে তা দেখতে আসেন অনেকেই। একসাথে খাওয়া-দাওয়া মাত্র দু’বছরের এই শিশুটি নিজের খাবার বাঁদরদের সঙ্গে ভাগ করে খায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিন এই বাঁদররা একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়। সেসময় সমর্থ যদি ঘুমিয়ে থাকে, ওর ঘুম ভাঙায় বাঁদররা। বাঁদরের রাগ প্রথমে পরিবারের সদস্যরা ভাবতেন এই বাঁদররা শিশুদের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু যখন তারা অন্য কোনো শিশুকে বাঁদরদের কাছে নিয়ে গেলেন, বাঁদরদের দলের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ পেল। বিশেষ সম্পর্ক এখন সবাই এটা মেনে নিয়েছেন যে, সমর্থের সাথে এই বাঁদরদের বিশেষ একটা সম্পর্ক আছে। যদিও শিশুটি এখনো কথা বলতে পারে না। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মনে হয় বাঁদরদের সঙ্গে সে ভাব বিনিময় করে। মোগলির কথা মনে পড়ে সমর্থের এই আচরণ সবাইকে ‘দ্য জঙ্গল বুক’ এর মোগলির কথা মনে করিয়ে দেয়। এই গল্পের মুখ্য চরিত্র মোগলি জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে জীবনযাপন করতো। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
×