ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় মাসে আয় এসেছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ডলার

রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৭.১৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৭.১৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৬৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত ছয় মাসের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫০ লাখ লাখ ডলার। এ সময়ে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে। এ দিকে অর্থবছরে ছয় মাসে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৬৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত ছয় মাসের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫০ লাখ লাখ ডলার। এ সময়ে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার ০.২৩ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দেশের পণ্য রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ১৪৭৭ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ১৩৭০ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় পোশাক রফতানিতে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৩৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ । গত ছয় মাসে ৭১৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের ওভেন পোশাক ও ৭৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলারের নিট পোশাক রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় নিট পোশাকে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও ওভেন পোশাকে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি নিটওয়্যার পোশাকে রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ওভেনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। নিটওয়্যার পোশাকে রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। ওভেন পোশাকে লক্ষ্যমাত্রা ০ দশমিক ০২ শতাংশ কম অর্জিত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে সক্ষমতা হারিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে এ্যাকোর্ড, এ্যালায়েন্স এর পরিদর্শনের পর কিছু কারখানা আংশিক, সাময়িক ও পূর্ণাঙ্গভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংকঋণ ও বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ব্যয় মিটিয়ে অনেকের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কঠিন সঙ্কটের মুখে পোশাক শিল্প। তারপরও পোশাক রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমরা দুশ্চিন্তায় আছি সামনের দিনগুলো নিয়ে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মাছ রফতানি হয়েছে ৩১ কোটি ২৪ লাখ ডলার আয় এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এ খাতে ২৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় আসে। সে হিসেবে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাই-ডিসেম্বর মাসে চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য রফতানিতে আগে অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ১ দশমিক ২১ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে । আয় হয়েছে ৬২ কোটি ২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
×