ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

ঝলক

সূর্যোদয় কন্যাশিশু যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে এগারো হাজার বছর আগের একটি কন্যাশিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। এতে করে প্রাচীন আমেরিকায় মানুষের বসবাস সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পাওয়া যাবে। শিশুটির বংশানুগতির বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সে এমন এক আদিম মানব প্রজাতির সদস্য ছিল, যাদের সম্পর্কে এ পর্যন্ত খুব কমই ধারণা পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, তারা ওই দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে যে তথ্য পেয়েছেন, তা তাদের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। ওই তথ্য বলছে, দুই হাজার বছর আগে সাইবেরিয়া থেকে মানুষ এই মহাদেশে অভিবাসী হয়েছিল। তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ নিচে নেমে যাওয়ায় বেরিং প্রণালী শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপর উত্তর মেরুর বরফের আস্তরণ গলতে শুরু করলে বেরিং প্রণালী আবার পানিতে ভরে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসে। বর্তমান আমেরিকানদের পূর্ব পুরুষরা তখন ওই অঞ্চলে গিয়ে বসতি গেড়েছিল। গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক এসকে উইলারস্লেভ। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ন্যাচারে এ বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা আপওয়ার্ড সান রিভার থেকে ছয়-সপ্তাহবয়সী শিশুটির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় আদিবাসীরা শিশুটির নাম দিয়েছে ‘সূর্যোদয় কন্যাশিশু’। আর বিজ্ঞানীরা তাকে ডাকছেন ইউএসআর-১ নামে। অধ্যাপক উইলারস্লেভ বলেন, আলাস্কায় এ পর্যন্ত যত দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে আদিম। -বিবিসি অনলাইন রোগী বাঁচাবে ড্রোন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া সীমান্তে শত্রুর ওপর নজর রেখে দেশকে রক্ষা করে ড্রোন। কিন্তু এবার শুধু দেশ নয়। মৃত্যুমুখে থাকা রোগীদের ওষুধ এবং রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে তুলবে ড্রোন। ক্যালিফোর্নিয়ার জিপলিন সংস্থা ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এই ড্রোনটির কাজ শুরু করেছে। জীবন বাঁচাবে এই ড্রোন। কিন্তু কিভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে তুলবে এই ড্রোন? দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের হাসপাতালগুলোতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ কিংবা রক্ত পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়না সবসময়। এরফলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগীরা। এ্যাম্বুলেন্স নিয়েও সর্বদা ঢোকা যায় না সেই সমস্ত দুর্গম রাস্তা দিয়ে। তাই ডাক্তাররা চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত ওষুধ কিংবা রক্তের অভাবে রোগীদের বাঁচাতে পারেন না। সেই সমস্যারই মোকাবেলা করবে এবার ড্রোন। যা যে কোন দুর্গম অঞ্চলে ওষুধ পৌঁছে দেবে নিমিষেই। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মাত্র ১৫ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে ড্রোনটি। এরপরই ড্রোন থেকে নেমে আসবে প্যারাসুট। সেই প্যারাসুটেই থাকবে ওষুধ। হাসপাতালের কর্মীরা সেই ওষুধ নিয়ে নিতেই আবার গন্তব্যস্থলে ফিরে যাবে ড্রোনটি।-এনডিটিভি অনলাইন
×