ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

উবাচ

জোড়াতালি স্টাফ রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ-পশ্চিমের মানুষের চোখের স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে পদ্মা সেতুতে। অন্তত দেশের ২১ জেলার মানুষ দিন গুনছে কবে আসবে সেই সময়। উদ্বোধন হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণের শুরুর পর্বে দেশের এক নোবেল জয়ীর চক্রান্ত দেখেছে সাধারণ মানুষ। তিনি সরাসরি লবিং করে বিশ^ব্যাংকের ঋণ বাতিল করে দিয়েছেন। এর পরও ভেঙ্গে পড়েনি বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন আমাদের সক্ষমতার বড় উদাহরণ। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে চিনতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের এই সাফল্যকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করবে বিরোধী দল। এখানে বেগম জিয়ার আর দোষ কী! তিনি সম্প্রতি বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ নাকি শেষই হবে না। আর শেষ হলেও এমন জোড়াতালি দিয়ে বানানো পদ্মা সেতুতে উঠতে সকলকে সাবধানও করলেন। কিন্তু বেগম জিয়া নিজেই যেদিন পদ্মা সেতুতে উঠবেন তখন কি হবে? তারেকের দুর্নীতি নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি দুর্নীতি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মায়ের সঙ্গে আরেক দুর্নীতি মামলায় আসামি। শীঘ্রই মামলাটিরও বিচার শেষ হবে। জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা নামে বহুল আলোচিত মামলাটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা হয়। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে। এই ব্যক্তির নাম না বললেও সবাই বুঝবেন, তিনি তারেক রহমান। এত কিছুর পরও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গত ১১ বছরে সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই পয়সার দুর্নীতিও খুঁজে পায়নি। তাহলে এসব কি? নাকি বাবার নামে এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে সেখানে কোটি কোটি টাকার তহবিল তছরুপকে বিএনপি দুর্নীতিই ভাবতে পারছে না। আর কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কমিশন খাওয়াকেও স্বাভাবিক বলেই মনে করছে। নাকি নজরুল ইসলাম খান হাওয়া ভবনের কথা ভুলে গেছেন? আলোচিত সেই হাওয়া ভবনে বখরা না দিয়ে দেশের কোন ঠিকাদারই কাজ পেত না বলে ওই সময় প্রচলিত ছিল। ’৭৩ এ অবৈধ ছিলেন? স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন ড. কামাল হোসেন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ড. কামাল ‘অনির্বাচিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু কেউ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না আসে সেক্ষেত্রে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের দোষটা কোথায়! যদিও ড. কামাল এসব সংসদ সদস্যকে অবৈধ বলেই বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের একই ধরনের অতীত থাকার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমি ড. কামাল হোসেন সাহেবকে সবিনয়ে বলতে চাই, ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন; আপনি কি তাহলে সে সময় অবৈধ সাংসদ ছিলেন? অবশ্য, এর পর ড. কামালের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
×