ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কুয়েতের আমির অনুদান দিয়েছিলেন ॥ খালেদার আইনজীবী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কুয়েতের আমির অনুদান দিয়েছিলেন ॥ খালেদার আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সপ্তম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। যুক্তি উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়ার সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে বলেন, কুয়েতের আমির অনুদান হিসেবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থ প্রদান করেছিলেন। যা কোন ব্যক্তি বিশেষকে প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে কুয়েত দূতাবাস হতে পাঠানো একটি চিঠি তিনি আদালতে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আমি কুয়েতের আমির যে অর্থ প্রদান করেছিলেন সে বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলম। কুয়েত দূতাবাস হতে পরবর্তীতে পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপন জন্য ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত এ আদেশ প্রদান করেছেন। খালেদা জিযার পক্ষে তার আইনজীবী জে মোহাম্মদ আলী আদালতে বলেন, কুয়েতের আমির অনুদান হিসেবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থ প্রদান করেছিলেন। যা কোন ব্যক্তি বিশেষকে প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে কুয়েত দূতাবাস হতে পাঠানো একটি চিঠি তিনি আদালতে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আমি কুয়েতের আমির যে অর্থ প্রদান করেছিলেন সে বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। কুয়েত দূতাবাস হতে পরবর্তীতে পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে আদালত আইনজীবী জে মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চান, আপনাকে উদ্দেশ্য করে কেন চিঠি পাঠানো হল। এখানে কত টাকা পাঠানো হয়েছে তা বলা হয়নি। চিঠির মূলকপি জমা দেননি। আদালত আরও জানতে চান, কুয়েতের আমিরের দেয়া টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এসেছিল কি না? কোন এ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল? জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি আইনজীবী হিসেবে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলাম। চিঠিতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। এরপর আদালত জানতে চান- চিঠিতে রাষ্ট্রদূতের স্বাক্ষর নেই। চিঠিতে কার স্বাক্ষর। জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, রাষ্ট্রদূতের স্বাক্ষর। এ বিষয়ে আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে কুয়েত দূতাবাস বলতে পারবে। এর আগে আদালতে হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। দীর্ঘ সময় আদালতে নির্ধারিত আসনে বসে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন দেখেন। বেলা পৌনে ৪টায় মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হলে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। অন্যদিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কুয়েতের আমির এই টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দিয়েছেন। এই মামলায় সাতজনকে দিয়ে জাল নথি তৈরি করা হয়েছে। ভুয়া, জাল কাগজপত্র, ওভাররাইটিং এবং জাল নথি দিয়ে এই মামলা করা হয়েছে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- প্রবীণ আইনবিদ জমির উদ্দিন সরকার, এ জে মেহাম্মদ আলী, আবদুর রেজ্জাক খান, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, কায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, রাগীব রউফ চৌধুরী, জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। শুনানিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, আব্দুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
×