ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:১৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

ফিরে দেখা

মওদুদের দাবি খালেদার হাততালি শরীফুল ইসলাম ॥ ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৭টা। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সরকারের কঠোর সমালোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। মওদুদের মুখে এ কথা শুনে মঞ্চে উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুশি হন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসিমুখে হাততালি দিতে থাকেন। আর খালেদা জিয়ার হাততালি দেয়া দেখে হলভর্তি দলীয় নেতা-কর্মীরা জোড়ে হাততালি দেয়ার পাশাপাশি স্লোগান দিতে থাকেন ‘খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে।’ কুস্তি নিয়ে পালোয়ানের বাণী! রুমেল খান ॥ কুস্তি বা রেসলিও বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। টিভিতে যখন রেসলিং প্রতিযোগিতা হয় তখন চোখ ফেরানো মুশকিল হয়ে পড়ে। অবুঝ শিশুরা রেসলিংয়ে অবাক হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকে। বিশ্বখ্যাত রেসলারদের কলাকৌশল দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। রেসলাররা লড়াইয়ে সময় যে চেহারা বা অঙ্গভঙ্গি করেন, তা দেখে দর্শকরাও চিৎকার করতে থাকেন। বাংলাদেশের দর্শকরা টিভিতে রেসলিং চলাকালে অন্য চ্যানেলের কথা ভুলে যান। তাবিউর রহমান পালোয়ান। বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বেশ মজার মানুষ। প্রায়ই তিনি কিছু বাণী পেশ করে থাকেন বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে। বেশ কিছুদিন আগে তিনি পালোয়ান সাহেব একটা অসাধারণ বাণী দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ‘কুস্তি হচ্ছে একটা ধ্বস্তাধ্বস্তির খেলা।’ এর কয়েকদিন পরেই আবার নতুন ও আরেকটি ঐতিহাসিক বাণী পেশ করলেন। বললেন, ‘জব্বারের বলি হচ্ছে একটা ঠেলাঠেলির খেলা...!!!’ তার ওই বাণী শুনে হাসবো, না কাঁদবো ... ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। সিটিং চিটিং শাহীন রহমান ॥ রাজধানীর প্রায় সব রুট থেকেই উঠে গেছে লোকাল পরিবহন সার্ভিস। এর বদলে এখন চলছে নিটিং সার্ভিস। তবে সিটি সার্ভিস কতটা সিটিং আর কতটা চিটিং তা ভুক্তভোগীরা জানেন। আমি যে রুটে যাতায়াত করি প্রায় সবগুলো গাড়িই সিটিং সার্ভিসে চলে। গাড়িতে একবার উঠার পর ওয়েবিল সই হলেও তাকে পুরো ভাড়া গুনতে হয়। জোড়াজুড়িতে কোন ক্ষমা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে বাসের লোকদের যুক্তি হলো টাকা কম দিলে আমাদের পকেট থেকে গুনতে হবে। কিন্তু ওয়েবিল সই হওয়ার বাসে লোক উঠানো নিষেধ হলেও এ নিয়ম তাদের মানতে দেখা যায় না। যাত্রীদের শত আপত্তি উপেক্ষা করে বাসভর্তি লোক তোলা হয়। যাত্রীদের পক্ষ থেকে আপত্তির উল্টো যুক্তি দেন এক্ষেত্রে তারা। এ নিয়ে প্রায়ই বাসের মধ্যে বচস্া, মারামারি হতে দেখা যায়। সুপারভাইজরদের মধ্যে যেমন অনেকে যাত্রীদের সঙ্গে বাজে কথা বলে থাকেন। আবার অনেকে যাত্রীকে বুঝিয়ে পার পেয়ে যান। বলেন, দু-চারটা লোক অতিরিক্ত না তুললে আমাদের পেট চলবে কি করে।
×