ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাসদার হোসেন মামলা

ব্যারিস্টার আমীর ও ড. কামালের ওকালতনামা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

ব্যারিস্টার আমীর ও ড. কামালের ওকালতনামা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাসদার হোসেন মামলা থেকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও ড. কামাল হোসেনের ওকালতনামা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন (বিপেএসএ)। বুধবার জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে গণমাধ্যমে পাঠনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান ও মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত ) যুগ্মসচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার আপীল বিভাগে শুনানিকালে আমীর-উল ইসলাম অধস্তন আদালতের বিচারকদের স্বার্থবিরোধী বক্তব্য দিলে আদালত তা গ্রহণ না করায় জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন অসন্তোষ প্রকাশ করছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, এ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফসহ ৬ আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বিচারাধীন অধস্তন আদালতের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৭ সম্পর্কে যে সব মন্তব্য করেন যা অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের (বিপেএসএ) দৃষ্টি গোচর হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে বিধিমালা প্রণয়ন না করেই অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়টি ১৯৮৫ সালের সরকারী কর্মচারীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা অনুসরণ করেই নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। যা অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিকট সংবিধানসম্মত ছিল না। এখানে আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এ্যাডভোকেট হাসান আরিফ বিভিন্ন সময়ে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তারা তাদের দায়িত্বকালীন সময়ে অধস্তন আদালতের বিচারকগণের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা প্রণয়নের কোন উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা প্রণয়নের বিষয়টি চূড়ান্তকরণের সময় বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অস্থায়ী প্রধানবিচারপতি ও আপীল বিভাগের সকল বিচারপতিগণের সঙ্গে এবং অধস্তন আদালতের বিচারকদের সঙ্গে বিধিমালা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তদপ্রেক্ষিতে প্রণীত বিধিমালাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরিত হলে রাষ্ট্রপতি উক্ত বিধিমালা অনুমোদন করেন। উক্ত শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রেক্ষিতে গেজেটে আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ৩ জানুয়ারি বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় এই বিধিমালা প্রকাশিত গেজেটটি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়েছে যে বিবৃতিদানকারী ৬ আইনজীবী মাসদার হোসেন মামলাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। যেহেতু অধস্তন আদালতে বিচারকদের জন্য শৃঙ্খলা বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ গৃহীত করেছে সেহেতু বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন উক্ত বিধিমালার বিষয়ে সকলকে অনুরূপ নেতিবাচক মন্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার জন্য অনুরোধ করেছে।
×