ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় পিইসি পরীক্ষা না দিয়েই ৪ শিক্ষার্থীর পাস!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

কুমিল্লায় পিইসি পরীক্ষা না দিয়েই ৪ শিক্ষার্থীর পাস!

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩ জানুয়ারি ॥ চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না দিয়েও চার শিক্ষার্থী পাস করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়। জানা গেছে, গত শনিবার দেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭ এর ফল প্রকাশিত হয়। এরমধ্যে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বেতিয়ারা, মুন্সিরহাট ও পদুয়া দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও পাস করায় শিক্ষকরা হতবাক হয়ে পড়েন। একইসঙ্গে হতবাক হন চার শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ স্থানীয় লোকজন। পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবায়দুল হোসেন, তার রোল নং- ৭৬৮২, প্রাপ্ত জিপিএ-৩.৫৮, মোট নম্বর ৩৭৮; মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মুন্সিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা সাথি আক্তার, তার রোল নং- ৪৪৭০, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৫০, মোট নম্বর ৩০৫; আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়শা আক্তার, তার রোল নং- ৮১৮৯, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৩৩, মোট নম্বর ২৯০ এবং একই স্কুলের নুসরাত জাহান, তার রোল নং- ৮১৯০, প্রাপ্ত জিপিএ-২.২৫, তার মোট নম্বর ২৯৩। এ ফল দেখে হতবাক হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বেতিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হামিদা আক্তার ও মুন্সিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশিউর রহমান ও পদুয়ার (দক্ষিণ) প্রধান শিক্ষক। এ ধরণের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ‘মিথ্যা তথ্যে ভাগ্য খুলেছে এবায়দুল, আয়শা, নুসরাত ও সাথি আক্তারের।’ তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত এর করে দেখা হচ্ছে।
×