মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে গোলাগুলি ॥ আহত ৯

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দির আমঘাটা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে ৯ জন। গুলিবিদ্ধ লিজা, মীম, খালেদা আক্তার, ফালান, সজল হোসেন ও অজ্ঞাতনামা দুইজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশী বন্দুক উদ্ধার করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে। এই সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শৈবাল বশাক জানান, অজ্ঞাতনামা দুইজনসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানান, সকাল থেকেই আমঘাটা এলাকায় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় একটি বিদেশী বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। ফরিদপুরে আহত ১০ ॥ ১৫ বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, নগরকান্দার রামনগরে বুধবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ১৫টি বাড়ি ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানাগেছে। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্দার ফকিরের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস ফকিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে মান্দার ফকিরের সমর্থক নয়নকে মারপিট করা হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে উভয়পক্ষের কয়েক শ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, আকুব্বর মোল্যা, নৈমুদ্দিন মোল্যা, রাকিব, খালেক মোল্যা, রাকিব শেখ, সারোয়ারজান মোল্যা, সাহেরা বেগম, বাশার মোল্যা, হারেজ মোল্যা, মিন্টু মোল্যা। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নৈমুদ্দিন মোল্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। হামলা ও পাল্টা হামলার সময় রামনগর ইউনিয়েনের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার সারোয়ারজান মোল্যা, খালেক মোল্যা, হাসান মাতুব্বর, সালাম শেখ, কালাম তালুকদার, নয়ন তালুকদার, জামাল, মুশা তালুকদারের বাড়িসহ ১৫টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে নগরকান্দা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।