ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে সপ্তাহ ধরে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

রাজশাহীতে সপ্তাহ ধরে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি ॥ ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার রাফায়েল ফাতেমীর অপসারণের দাবিতে স্থানীয় দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দাবির সঙ্গে রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতি সংহতি প্রকাশ করে তারাও একই দাবি জানিয়েছে। দ্রুত সাবরেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবি জানিয়ে বুধবারও দলিল লেখক সমিতি প্রতিবাদ সভা করেছে। দলিল লেখকদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ভবানীগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে বাগমারার দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন। ওইদিন দলিল নিবন্ধন করতে গেলে সাবরেজিস্ট্রার দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলামকে নাজেহাল করে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়। এরপর দলিল লেখকেরা সাবরেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে সাবরেজিস্ট্রার অভিযোগ অস্বীকার করে এটি সামান্য ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। বাগমারা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, সাবরেজিস্ট্রার রাফায়েল ফাতেমির অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে তারা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। দলিল লেখকেরা কোন দলিল লেখছেন না এবং তা নিবন্ধনের জন্য সাবরেজিস্ট্রারের কাছেও যাচ্ছেন না। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। তিনি বাগমারায় যোগদানের পর থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের জন্য দলিল লেখকদের হয়রানি এবং তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের কর্মসূচী অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, দলিল লেখকেরা স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের অসুবিধা ও দাবির কথা জানিয়েছেন। বুধবার সকালে কর্মসূচী চলাকালে উপজেলা দলিল লেখকদের উদ্যোগে সমিতির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী, দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম, সানাউল হক প্রমুখ। এদিকে বাগমারা দলিল লেখকদের কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জেলা দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ। জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মহিদুল হক বলেন, বাগমারার দলিল লেখকদের দাবির সঙ্গে তারাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি মানা না হলে সমগ্র জেলায় অনুরূপ কর্মসূচী (কর্মবিরতি) পালন করা হবে। দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কারণে লোকজন দলিল নিবন্ধন করতে পারছেন না। কর্মসূচী চলাকালে প্রায় তিন শ’ দলিল নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি বলে সমিতি সূত্রে জানা যায়।
×