ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার বছর পর লেনদেনের নেতৃত্বে ব্যাংক খাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

চার বছর পর লেনদেনের নেতৃত্বে ব্যাংক খাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ চার বছর পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংক খাত লেনদেনে রাজত্ব ফিরে পেয়েছে। বিদায়ী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ডিএসইতে ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। এর আগে শেষ ২০১২ সালে ব্যাংক খাত লেনদেনের শীর্ষে ছিল। ওই বছর ব্যাংক খাতের লেনদেন ছিল মোট লেনদেনের ১৫.৬৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ২০১৭ সালে ডিএসইতে ব্যাংক খাতে ২ হাজার ৭২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯১১টি শেয়ার হাত বদলের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ১৯৯ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৯১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ২২.৬৮ শতাংশ। এর আগে ২০১২ সালে ডিএসইতে ব্যাংক খাত লেনদেনের শীর্ষে ছিল। ওই বছর ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৮৭ কোটি ৩৫ হাজার ২৪০ টাকার। যা ছিল মোট লেনদেনের ১৫.৬৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে ব্যাংক খাত লেনদেন শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে পড়ে। ওই বছর ব্যাংক খাতে ৮.৩৪ শতাংশ লেনদেন হয়। খাত ভিত্তিক লেনদেনের পঞ্চমস্থানে নেমে যায় এ খাত। ওই বছর লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বস্ত্র খাত। বস্ত্র খাতের লেনদেন ছিল ১৫.৯৬ শতাংশ। পরে বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ব্যাংক খাতের লেনদেন কিছুটা বেড়ে ৯.১৭ শতাংশ উন্নীত হয়। তবে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে আবার এ খাতের লেনদেন কমে ৭.৭৭ শতাংশে নেমে যায় এবং ২০১৬ সালে আবার কিছুটা বেড়ে ৮.৮৭ শতাংশ হয়। তবে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষস্থানে ছিল বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত এবং ২০১৬ সালে প্রকৌশল খাত। গত বছরে লেনদেনের দ্বিতীয়স্থানে নেমে যায় প্রকৌশল খাত। অর্থাৎ ২০১৭ সালে এ খাতের লেনদেন হয়েছে ১২.৭১ শতাংশ। ২০১৬ সালে প্রকৌশল খাত লেনদেনে শীর্ষে ছিল। ওই বছর এ খাতের লেনদেন হয়েছিল ১৬.৭৭ শতাংশ। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে উঠে আসে বস্ত্র খাত। এ খাতের লেনদেন হয়েছে ১১.৮৮ শতাংশ। ১০.৯৬ শতাংশ লেনদেন হয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে যায় ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ওষুধ ও রসায়ন খাত লেনদেনে তৃতীয় স্থানে ছিল। ডিএসইতে খাত ভিত্তিক লেনদেনে অন্য খাতের মধ্যে আর্থিক খাতের ১০.৪০ শতাংশ, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ৮.৬০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৪.২৩ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩.২২ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২.২৮ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.২৬ শতাংশ, বীমা খাতে ১.৮১ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড ও সেবা খাতে ১.৭৫ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১.৫৯ শতাংশ, চামড়া খাতে ১.২৪ শতাংশ, সিরামিক খাতে ১.১৯ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতে ০.৯৯ শতাংশ, পাট খাতে ০.২৪ শতাংশ, পেপার এ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে ০.১৯ শতাংশ এবং বন্ড খাতে ০.০৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
×